ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের দুর্নীতি মামলায় গোটা দেশজুড়ে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালাল সিবিআই। দিল্লি, নয়ডা, গুরুগ্রাম, মুম্বই, কলকাতা, গান্ধীনগর সহ বহু জায়গায় হানা দেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। জানা গিয়েছে, একাধিক ব্রোকার সংস্থার দফতরে তল্লাশি অভিযান চালাল সিবিআই। উল্লেখ্য, শেয়ার বাজারে দুর্নীতি ও হেরফেরের অভিযোগে ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের প্রাক্তন সিইও চিত্রা রামকৃষ্ণকে আগেই গ্রেফতার করে সিবিআই।
এর আগে ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের প্রাক্তন এমডি-সিইও চিত্রা রামকৃষ্ণের উপদেষ্টা আনন্দ সুব্রমনিয়ামকে গ্রেফতার করেছিলেন তদন্তকারীরা। উল্লেখ্য, প্রাক্তন এমডি-সিইও চিত্রা রামকৃষ্ণ এক অজ্ঞাতপরিচয় 'যোগী'-র কথায় চলতেন বলে অভিযোগ ওঠে। সেই যোগীর কথায় নাকি চিত্রা এনএসই-র গোপন তথ্য ফাঁস করতেন। ধৃত চিত্রা ও আনন্দের বিরুদ্ধে ঘুষ নিয়ে বিশেষ সংস্থাকে কো-লোকেশন সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।
উল্লেখ্য, 'অ্যালগোরিথিমিক ট্রেডিং'-এর মাধ্যমে এনএসই-র তরফে কয়েকজন ট্রেডারকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। ২০১৮ সালের সেই মামলার তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু হয় সম্প্রতি। তদন্ত শুরু হলে সেবির একটি নথি প্রকাশ্যে আসে। তাতে চিত্রার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ছিল। এদিকে কো-লোকেশন কেলেঙ্কারীর তদন্তে নেমে সিবিআই তদন্তকারীরা জানতে পারেন, দিল্লির ব্রোকিং সংস্থা ওপিজি সিকিউরিটিজ ও তার প্রোমোটার সঞ্জয় গুপ্ত নিয়ম ভেঙে এনএসই-র কো-লোকেশন ব্যবস্থার সুবিধা নিয়েছিলেন। এই সুবিধা নিয়ে সঞ্জয় সময়ের আগেই লগ ইন করে লেনদেন করতে পারতেন। এর ফলে অন্যান্য সংস্থার থেকে বেশি মুনাফা আসত তাঁর পকেটে। দশ বছর আগের সেই দুর্নীতির ঘটনায় চিত্রা, আনন্দ-সহ মুম্বইয়ে এক্সচেঞ্জের আধিকারিকদের অনেকেই জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ।