দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার বাড়িতে ও অফিসে অভিযান চালাল সিবিআই। শনিবার সিবিআইয়ের একটি টিম এই অভিযান চালায়। এই ঘটনার কথা নিজেই একথা টুইট করে জানিয়েছেন। জানা গিয়েছে দীর্ঘ ১২ ঘণ্টা ধরে চলেছে তল্লাশি। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বহু নথি। তবে কোনও টাকা উদ্ধার হয়নি বলে খবর।
এদিকে, মণীশ সিসোদিয়া তাঁর টুইটে সিবিআইয়ের তল্লাশি অভিযান নিয়ে একটি টুইট করেন। সেই টুইটে লেখা রয়েছে,' আজ ফের সিবিআই আমার অফিসে আসে। তাঁদের স্বাগত। তাঁরা আমার বাড়ি, ব্যাঙ্ক লকার.. এমনকি আমার গ্রামে যেতে চান ও তল্লাশি চান। তাঁরা আমার বিরুদ্ধে কিছু খুঁজে পাননি। আর পাবেননও না। কারণ আমি কোনও অন্যায় কাজ করিনি। আমি সততার সঙ্গে শিক্ষাক্ষেত্রে কাজ করেছি দিল্লির শিশুদের জন্য।' উল্লেখ্য, গত বছর দিল্লির লেফ্টন্যান্ট গভর্নর এর আগে সুপারিশ করেছিলেন দিল্লি সরকারের আবগারী নীতি নিয়ে তদন্তের। তারপর থেকেই সিবিআই এই তদন্তের পথে হাঁটে। ওই আবগারী নীতিতে কিছু অমিল পাওয়ায় এই সুপারিশ যায়। এরপর সিবিআই তদন্ত শুরু হতেই বিজেপি বনাম আপের মধ্যে সংঘাত শুরু হয়। একাধিক গ্রেফতারির ঘটনা ঘটে। এই মামলায় মণীশ সিসোদিয়াকেও অভযুক্তের তালিকায় রাখা হয়।
এদিকে এই তদন্তের ঘটনায় গর্জে ওঠেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তিনি বহুবার দাবি তুলেছেন যে মণীশ সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে সিবিআই বিজেপির সরকারের কথায় প্রভাবিত হয়ে তদন্ত করছে। কেজরিওয়াল অভিযোগ তুলেছেন, বহু মাস ধরে বহু কিছু চেষ্টা করে, তদন্ত করেও মণীশ সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে কিছু খুঁজে পাওয়া যায়নি। উল্লেখ্য, দিল্লির পুরভোটের আগে ও হাইভোল্টেজ গুজরাট বিধানসভা ভোটের আগে থেকে সিবিআই এই তদন্ত শুরু করেছে। সেই তদন্তের সঙ্গো নিবার্চনী অঙ্ক সংযুক্ত করে আম আদমি পার্টি সোচ্চার বয়েছে রাজনৈতিক বার্তায়। আম আদমি পার্টির দাবি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই আর্থিক তছরুপ মামলায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন দিল্লির মন্ত্রী সত্য়েন্দ্র জৈন।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup।