ওড়িশায় ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনায় দোষীদের চিহ্নিত করা হয়েছিল বলে রবিবার সকালেই জানিয়েছেন। সন্ধ্যায় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়ে দিলেন, করমণ্ডল এক্সপ্রেসের বিপর্যয় কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করেছে রেলওয়ে বোর্ড। তাঁর কথায়, ‘যে পরিস্থিতিতে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে, যে পরিস্থিতি আছে এবং যে সব প্রশাসনিক তথ্য মিলেছে, সেটা বিবেচনা করে পুরো বিষয়টির তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে দেওয়ার সুপারিশ করেছে রেলওয়ে বোর্ড।’
শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ বাহানগা বাজার স্টেশন পেরিয়ে মেন লাইনের পরিবর্তে লুপ লাইনে ঢুকে গিয়েছিল আপ করমণ্ডল এক্সপ্রেস (গতিবেগ ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটারের বেশি ছিল)। যে লুপ লাইনে আগে থেকেই দাঁড়িয়েছিল একটি মালগাড়ি। ওই মালগাড়িতে ধাক্কা মেরে লাইনচ্যুত হয়ে যায় করমণ্ডলের একাধিক কোচ। ছিটকে পড়ে অন্য লাইনে। সেইসময় উলটো দিকের লাইন দিয়ে আসছিল ডাউন SMVT বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস। করমণ্ডলের কোচে ধাক্কা মেরে হাওড়াগামী ট্রেনের কয়েকটি কোচও লাইনচ্যুত হয়ে যায়। সেই ঘটনায় সার্বিকভাবে প্রায় ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ১,০০০ জনের বেশি। সেই পরিস্থিতিতে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
কী কারণে বালাসোরে ওই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছে, তা নিয়ে রবিবার সকালে মুখ খোলেন রেলমন্ত্রী। তিনি দাবি করেন, ইলেট্রনিক ইন্টারলকিংয়ের (যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কোনও রুট সুরক্ষিত বলে না নিশ্চিত হলে কোনও ট্রেনকে সিগন্যাল দেওয়া হবে না) পরিবর্তনের কারণে সেই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছে। রেলমন্ত্রীর কথায়, ‘এটা একটি আলাদা বিষয়। পয়েন্ট মেশিন এবং ইলেকট্রনিক ইন্টারলকিং সংক্রান্ত বিষয়। ইলেকট্রনিক ইন্টারলকিংয়ের সময় যে পরিবর্তন হয়েছিল, সেটার কারণে এই দুর্ঘটনা হয়েছে। কে সেই কাজটা করেছে এবং কীভাবে সেই কাজটা হয়েছে, সেটা উপযুক্ত তদন্তের পরে খুঁজে বের করা হবে।’
(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup)