নতুন করে বিপাকে পড়ল তবলিগি জামাত। ধর্মীয় সংগঠনটির আন্তর্জাতিক যোগসূত্র এবং বিদেশি অনুদান নিয়ে তদন্তের জন্য প্রিলিমিনারি এনকোয়্যারি (পিই) রুজু করল সিবিআই। একথা জানিয়েছেন দুই আধিকারিক।
তাঁরা জানিয়েছেন, কোনও বিদেশি ব্যক্তি বা সংস্থার থেকে অনুদানের ক্ষেত্রে জামাত ফরেন কন্ট্রিবিউশন রেগুলেশন অ্যাক্টের (এফসিআরএ) কোনও বিধি লঙ্ঘন করেছে কিনা, তার উপর প্রাথমিকভাবে জোর দেবে সিবিআই। ইতিমধ্যে সেই তদন্তে কিছুটা এগিয়েছে। দিল্লি পুলিশের অপরাধ দমন শাখা থেকে সেই সংক্রান্ত নথি সংগ্রহ করেছেন তদন্তকারীরা এবং তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি জামাতের ৯০০-র বেশি জামাত সদস্যের বিরুদ্ধে যে ৪৭ টি চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে, সেই নথিও নেবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
এক আধিকারিক বলেন, ‘তবলিগি জামাত, তাতে অর্থ দেওয়া ভারত এবং বিদেশের লোক, জামাত এবং সহযোগী সংগঠনের সঙ্গে জড়িতদের আর্থিক কার্যকলাপে অনিয়ম অনুসন্ধান করার জন্য একটি পিই রুজু করেছি আমরা।’
সিবিআইয়ের পরিভাষায় প্রিলিমিনারি এনকোয়্যারি (পিই) হল, কোনও অনিয়মের অভিযোগ যাচাই করা। তার উপর ভিত্তি করে এফআইআর দায়ের করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
প্রাথমিকভাবে খবর, সব নথি খুঁটিয়ে দেখার পর জামাতের প্রধান মৌলানা মহম্মদ সাদ-সহ দিল্লি এবং অন্যান্য শহরের কর্তাদের তলব করতে পারে সিবিআই। দ্বিতীয় আধিকারিক জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে প্রয়োজন হলে উপযুক্ত প্রক্রিয়ায় বিদেশি তদন্তকারী সংস্থারও সাহায্য নেওয়া হবে।
বিষয়টি নিয়ে অবশ্য জামাতের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। ধর্মীয় সংগঠনটির আইনজীবী ফুজেল আয়ুবির সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাঁর উত্তর পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, আর্থিক তছরুপ আইনে জামাত ও সাদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে তদন্ত চালাচ্ছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। কীভাবে জামাতের সদর দফতর মার্কাজ অর্থ বদল করত এবং তাতে হাওয়ালা যুক্ত ছিল না কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অতীতে দেখা গিয়েছে, ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের জঙ্গি এবং আইসিসের চরমপন্থী ভাবধারায় অনুপ্রাণিত জঙ্গিও জামাতের অনুষ্ঠানে হাজির থেকেছে। তবে ভারতের কোনও সন্ত্রাসবাদী হামলায় জামাতের নাম কখনও জড়ায়নি।