গরু ও কয়লা পাচারকাণ্ডে অভিযুক্ত প্রাক্তন যুব তৃণমূল নেতা বিনয় মিশ্রের খোঁজে এবার ইন্টারপোলের সাহায্য নিচ্ছে সিবিআই।ইতিমধ্যে বিনয়ের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারি করা হয়েছে।কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে খবর, গরু ও কয়লা পাচারকাণ্ডে অভিযুক্ত এই নেতা অস্ট্রেলিয়ার কাছে একটি ছোটো দ্বীপে গা ঢাকা দিতে পারেন বলে অনুমান করা হচ্ছে।তাই তাঁকে ধরতে এবার ইন্টারপোলের সাহায্য নিতে চলেছে সিবিআই।
জানা যাচ্ছে, গরু ও কয়লা পাচারকাণ্ডে অভিযুক্ত এই প্রাক্তন তৃণমূল নেতা অস্ট্রেলিয়ার পূর্ব দিকে প্রশান্ত মহাসাগরের বুকে ভানুয়াটু নামে একটি ছোট্ট দ্বীপে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে।সিবিআইয়ের এক আধিকারিকের অবশ্য বক্তব্য, তাঁরা অবশ্য পরিষ্কার করে কিছুই জানেন না, কোথায় তিনি রয়েছেন।তবে ওই এলাকার আশেপাশে থাকতে পারেন বলেই মনে করা হচ্ছে।ইন্টারপোলকে জানিয়েছি, যদি তাঁকে ওই এলাকায় খুঁজে পাওয়া যায়, তাহলে যেন স্থানীয় প্রশাসনকে বলা হয় তাঁকে গ্রেফতার করতে।
ইতিমধ্যে কলকাতা হাইকোর্টে হলফনামা দাখিল করে বিনয় মিশ্রের তরফে আইনজীবী জানিয়েছেন, তদন্ত শুরু হওয়ার অনেক আগেই গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে বিনয় মিশ্র দেশ ছেড়ে চলে গিয়েছেন।শুধু তাই নয়, গত বছরের ডিসেম্বর মাসে ভারতের নাগরিকত্বও ত্যাগ করেছেন বিনয়, যা ভারতীয় কনসুলেট অনুমোদন দিয়েছে।গত বুধবার বিনয় মিশ্রের তরফে আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি জানান, বিনয় মিশ্রের দেশ ছেড়ে পালানোর কোনও প্রশ্নই নেই। কারণ, তদন্ত শুরু হওয়ার অনেক আগেই তিনি দেশ ছেড়ে চলে গিয়েছেন।তাঁর মক্কেল দেশে ফিরেও আসতে চান।কিন্তু তিনি ভয় পাচ্ছেন যে, ফিরে এলেই তাঁকে ধরা হবে।
এর আগে সিবিআই বহুবার গরু ও কয়লা পাচারকাণ্ডে অভিযুক্ত বিনয় মিশ্রকে তলব করে।কিন্তু বিনয় মিশ্রের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, তাঁর পক্ষে করোনা পরিস্থিতিতে সিবিআই দফতরে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না।তবে তিনি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সিবিআইয়ের সঙ্গে কথা বলতে পারেন।উল্লেখ্য, এই বিনয় মিশ্রই যখন তৃণমূলে ছিলেন, তখন তিনি বর্তমানে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ ছিলেন বলে জানা যায়।ইতিমধ্যে অভিষেকের স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও সিবিআই এক দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করে।ইতিমধ্যে এই মামলায় বিনয় মিশ্রের ভাইকেও জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই।সেই বিনয় মিশ্রের বিভিন্ন ফ্ল্যাট সিলও করে দেওয়া হয়।