মহাদেব বেটিং অ্যাপ মামলায় তদন্তভার নিল সিবিআই। ছত্রিশগড় পুলিশের অর্থনৈতিক অপরাধ শাখার (ইওডব্লিউ) কাছ থেকে এই মামলার তদন্তভার নিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইতিমধ্যে এই মামলায় আদালতে তিনটি চার্জশিট দাখিল করেছে ছত্রিশগড় পুলিশ। সিবিআই তাদের কাছ থেকে কেস ডায়েরি সহ তদন্তে উঠে আসা যাবতীয় তথ্য নিজেদের হাতে নিয়েছে।
আরও পড়ুন: গ্রেফতারি এড়াতে ৪দিনে ৫টি রাজ্যে ঘুরেছেন, রাতে মাওবাদী এলাকায় ছিলেন সাহিল
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের অগস্টে ছত্তিশগড় সরকার মামলাটি তদন্তের জন্য সিবিআইয়ের কাছে আর্জি জানিয়েছিল।রিপোর্ট অনুযায়ী, এবিষয়ে সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়েছে কয়েক সপ্তাহ আগেই তারা কেস ডায়েরি পেয়েছে। এবার তারা মামলার তদন্ত শুরু করবে। প্রসঙ্গত, মহাদেব বেটিং অ্যাপ নিয়ে ২০২২ সালে ইডি একটি মামলা দায়ের করেছিল। সেক্ষেত্রে বেটিং অ্যাপের কর্ণধার সৌরভ চন্দ্রকর, রবি উৎপল, শুভম সোনি এবং অতুল আগরওয়ালকে অভিযুক্ত করেছিল ইডি। তদন্তে অবৈধ উপায়ে অর্থ উপার্জনের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। ইডি আরও দাবি করে, যে মহাদেব বেটিং অ্যাপের প্রচারে ব্যয় করা হয়েছিল অবৈধ অর্থ। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর এবং ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে মহাদেব বেটিং অ্যাপের বর্ষপূর্তিতে দুবাইয়ে একটি পার্টির আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে বলিউড অভিনেতা, গায়ক এবং অন্যান্য সেলিব্রেটিরা উপস্থিত ছিলেন। অবৈধ তহবিল ব্যবহার করে তাদের অর্থ প্রদান করা হয়েছিল।
ছত্রিশগড় পুলিশ প্রথম অভিযোগ দায়ের করেছিল ২০২৪ সালের মার্চে। সেই মামলায় ১৯ জন ব্যক্তির ২২৯৬ কোটি মূল্যের সম্পত্তির হদিশ পায়। এরমধ্যে ছিল ১৯.৩৬ কোটি টাকা নগদ এবং ১৬.৬৪ কোটি মূল্যের গহনা। গত বছরের মার্চে পুলিশ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির (আইপিসি) অধীনে প্রতারণা, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, বিশ্বাস লঙ্ঘন এবং জালিয়াতির অভিযোগে অভিযুক্ত করে। এছাড়া দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে অভিযুক্ত করে।
মূলত ইডির কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বাঘেলের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। এছাড়াও তদন্তে তৎকালীন রাজ্য সরকারের অনেকের জড়িত থাকার ইঙ্গিত মিলেছিল। এখনও পর্যন্ত এই মামলায় ইডি ১১ জনকে গ্রেফতার করেছিল। আর রাজ্য পুলিশ ১৪ জনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের মধ্যে রয়েছে কনস্টেবল ও এএসআই পদমর্যাদার পুলিশ কর্মীরা। যদিও কংগ্রেসের মুখপাত্র আরপি সিংয়ের মতে, এটা নিছক বিজেপি সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসা। সকলেই জানে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে অপব্যবহার করছে কেন্দ্রীয় সরকার।