সিবিআই ও ইডি প্রধানের মেয়াদ বাড়াতে অর্ডিন্যান্স এনেছে কেন্দ্র। সেই অর্ডিন্যান্সকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে বেশ কয়েকটি মামলার আবেদন জমা পড়েছিল। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে এবার কেন্দ্রকে নোটিশ পাঠাল শীর্ষ আদালত। ২০২১ সালের ১৫ নভেম্বর সিবিআই এবং ইডির প্রধানদের সর্বোচ্চ মেয়াদ বাড়িয়ে পাঁচ বছর করা হয়েছিল। কেন্দ্রের যুক্তি ছিল হঠাত্ ওই দুই সংস্থান প্রধান সরে গেলে কোনও কোনও ক্ষেত্রে তদন্ত ব্যাহত হয়। তবে কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় মামলা দায়ের হয় শীর্ষ আদালতে।
এই আবহে আজ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এনভি রমানার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ কেন্দ্রকে নোটিশ পাঠায়। এর আগে সেন্ট্রাল ভিজিল্যান্স কমিশন অ্যাক্ট এবং দিল্লি স্পেশাল পুলিশ এস্টাব্লিশমেন্ট অ্যাক্টে সংশোধন করতে অর্ডিন্যান্স আনে কেন্দ্র। ইডির প্রধানের মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য সেন্ট্রাল ভিজিল্যান্স কমিশন অ্যাক্টের ২৫ নং ধারা সংশোধন করা হয়েছিল। এই সংশোধনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কংগ্রেস নেতা রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা এবং তৃণমূল কংগ্রেস নেতা মহুয়া মৈত্র ও সাকেত গোখলে মামলা দায়ের করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টে।
আরও পড়ুন: ক্যানসার আক্রান্ত হয়েও ৮১% পেয়ে পাশ করেন SSC, জীবনযুদ্ধে হেরে বিদায় নিলেন চিরতরে
মামলাকারীদের অভিযোগ ছিল, ইডি প্রধান সঞ্জয় কুমার মিশ্রের মেয়াদ বৃদ্ধি করতেই এই অর্ডিন্যান্স এনে আইন সংশোধন করেছে কেন্দ্র। ১৯৮৪ ব্যাতের সঞ্জয়কে ২০১৮ সালের নভেম্বরে ইডি প্রধান পদে নিয়োগ করা হয়েছিল। দুই বছর পর ২০২০ সালে আরও এক বছরের জন্য মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছিল সঞ্জয়ের। সেই মেয়াদ বৃদ্ধির বিষয়টিকেও চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করা হয়েছিল মামলা। এই আবহে গতবছরের ৮ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্ট পর্যবেক্ষণে জানায় যে সঞ্জয়ের মেয়াদ আর বৃদ্ধি করা উচিত নয়। তবে সুপ্রিম কোর্ট এই মামলায় হস্তক্ষেপ করতে চায়নি। এরপরই কেন্দ্রের তরফে অর্ডিন্যান্স নিয়ে এসে আইন সংশোধন করা হয়। আবেদনকারীদের অভিযোগ, সুপ্রিম কোর্টের ২০২১ সালের নির্দেশকে লঙ্ঘন করে কেন্দ্রের অর্ডিন্যান্স। আর এই কারণেই কেন্দ্রের এই অর্ডিন্যান্সকে বেআইনি ঘোষণা করার দাবি জানানো হয়েছে। এদিকে এর আগে কেন্দ্রের তরফে সঞ্জয়ের মেয়াদ বৃদ্ধির পক্ষে যুক্তি ছিল, আন্তঃসীমান্ত আর্থিক দুর্নীতি সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি মামলার তদন্ত এখনও বাকি। আর তাই এই সময়ে ইডি প্রধান বদলে তদন্ত ব্যাহত হতে পারে।