রিচা বাঙ্কা
মূল্যায়ন প্রক্রিয়ায় কোনওরকম পরিবর্তন হলে ভাবমূর্তি ধাক্কা খাবে। পড়ুয়ারাও তাতে উপকৃত হবে না। দশম শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষা নিয়ে দিল্লি হাইকোর্টে একথা জানাল সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন (সিবিএসই)।
বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে হলফনামায় দশম শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষার মূল্যায়ন প্রক্রিয়ার স্বপক্ষে একাধিক যুক্তি দিয়েছে কেন্দ্রীয় বোর্ড। দাবি করা হয়েছে, কোনওভাবেই মূল্যায়ন প্রক্রিয়ায় কোনওভাবে বাড়তি সুবিধা পাবে না। সেইসঙ্গে আদালতে জানানো হয়েছে, মূল্যায়ন প্রক্রিয়ায় কোনওরকম পরিবর্তন হলে ভাবমূর্তি ধাক্কা খাবে।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে গত ১৫ এপ্রিল সিবিএসই দশম শ্রেণির পরীক্ষা বাতিল হয়ে গিয়েছিল। তার ভিত্তিতে ১ মে মূল্যায়ন প্রক্রিয়ার ঘোষণা করেছে সিবিএসই। জানানো হয়, ইউনিট টেস্ট, প্রি-বোর্ড পরীক্ষা এবং হাফ-ইয়ার্লি পরীক্ষার ভিত্তিতে নম্বর দেওয়া হবে। অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নের ভিত্তিতে যাতে পড়ুয়াদের অহেতুক বেশি নম্বর দেওয়া না হয়, সেজন্য গত তিন শিক্ষাবর্ষে (২০১৭-২০১৮, ২০১৮-২০১৯ এবং ২০১৯-২০২০) সংশ্লিষ্ট স্কুলের সেরা ফলের নিরিখে বিষয়ভিত্তিক গড় নম্বরের থেকে সর্বাধিক দু'নম্বরের হেরফের হতে পারে।
যদিও শিক্ষক এবং পড়ুয়াদের একাংশের দাবি, সেই মূল্যায়ন প্রক্রিয়ায় ত্রুটি আছে। স্কুলের সাধারণ মানের ফলের কারণে মেধাবী পড়ুয়াদের ভুগতে হবে। তাঁরা নিজেদের যোগ্যতানুযায়ী নম্বর থেকে বঞ্চিত হবেন। সিবিএসইয়ের মূল্যায়ন প্রক্রিয়াকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করে 'জাস্টিস ফর অল' নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। তাতে দাবি করা হয়, পড়ুয়াদের প্রতি অবিচার' করা হচ্ছে। কারণ স্কুল কেমন ফল করেছে, তার সঙ্গে কোনও পড়ুয়ার ব্যক্তিগত ফলের কোনও যোগাযোগ নেই।
এমনিতে গত মাসে তত্কালীন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল ‘নিশাঙ্ক’ জানিয়েছিসেন, যে পড়ুয়ারা সিবিএসইয়ের মূল্যায়ন প্রক্রিয়ায় প্রাপ্ত নম্বরে সন্তুষ্ট হবেন না, তাঁরা ঐচ্ছিক পরীক্ষায় বসার সুযোগ পাবেন। করোনাভাইরাস পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আগামী অগস্টে অফলাইন পরীক্ষা হবে। তিনি আশ্বাস দেন, ‘যদি তোমরা মূল্যায়ন প্রক্রিয়ায় সন্তুষ্ট না হও, তাহলে চিন্তা করার প্রয়োজন নেই। যে পড়ুয়ারা মনে করবে, তাদের যোগ্যতার প্রতি অবিচার হয়েছে, নিশ্চিতভাবে তাদের যোগ্যতার প্রতি ন্যায় হবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই অগস্টে আমরা তাদের পরীক্ষা নেব। তাই কোনওরকম আশঙ্কিত হওয়ার প্রয়োজন নেই।’