করোনার প্রাদুর্ভাবের পর থেকেই শিক্ষাব্যবস্থা এক বড় প্রশ্নচিহ্নের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে। স্কুল খুললেও বারবার করোনার জেরে দরজায় তালা ঝুলেছে। করোনা আবহে বারবার বাতিল হয়েছে পরীক্ষা। বিনা পরীক্ষাতেই এক ক্লাস থেকে অন্য ক্লাসে উত্তীর্ণ হয়েছে পড়ুয়ারা। বোর্ড পরীক্ষা পর্যন্ত বাতিল হয়েছে। মূল্যায়ণের ভিত্তিতে রেজাল্ট প্রকাশ হয়েছে পরীক্ষার্থীদের। এই পরিস্থিতিতে ২০২২ সালেও কি ফের একবার বাতিল হবে বোর্ড পরীক্ষা। ওমিক্রনের বাড়বাড়ন্তে পড়ুয়াদের মনে এখন এই প্রশ্নই ঘুরছে।
করোনা পরিস্থিতিতে পরীক্ষা বাতিলের দাবি জানিয়েছে পড়ুয়াদের একাংশ। পরীক্ষা কেন্দ্রে গিয়ে পরীক্ষা দিতে হলে করোনা আক্রান্ত হতে পারে পড়ুয়ারা, এই যুক্তিতে স্বাস্থ্যের দোহাই দিয়ে পরীক্ষা বাতিল করার দাবি জানানো হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দ্বিতীয় টার্মের পরীক্ষার দিনক্ষণ এখনও ঘোষণা করেনি সিবিএসই। তবে পরীক্ষা যে হবে, তার ইঙ্গিত দিয়েছে বোর্ড। ইতিমধ্যেই, দ্বিতীয় টার্মের স্যাম্পেল পেপার প্রকাশ করা হয়েছে। যদিও বোর্ডের তরফে আগেই জানানো হয়েছিল যে বর্তমান করোনা পরিস্থিতি যদি উন্নতি না ঘটে, তাহলে দ্বিতীয় টার্মের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে না। সম্প্রতি, একটি সংবাদসংস্থাকে সিবিএসইর কন্ট্রোলার সনম ভরদ্বাজ জানিয়েছিলেন, করোনা গ্রাফ যদিও আও ঊর্ধ্বমুখী হয় তবেই পরীক্ষা বাতিল করা হবে। সেক্ষেত্রে প্রথম টার্মের পরীক্ষার উপর ভিত্তি করে পড়ুয়াদের মূল্যায়ণ করা হবে। তিনি অবশ্য জানান, পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে পরীক্ষা হবে।
প্রসঙ্গত, ওমিক্রনের জেরে বিভিন্ন রাজ্যে স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকলেও চলতি বছরে অসম, বিহার রাজস্থান ও মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্য জানিয়েছে যে তাদের ওখানে বোর্ড পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তবে সামনে উত্তরপ্রদেশ সহ পাঁচ রাজ্যের নির্বাচন। গতবছর নির্বাচনের পর যেভাবে সংক্রমণ বেড়েছিল, তা ভাবাচ্ছে অনেককেই। এই পরিস্থিতিতে এবছর ইতিমধ্যেই দৈনিক সংক্রমণ ৩ লক্ষের গণ্ডি ছাড়িয়েছে। যদিও এবার মৃত্যুর হার কম। এই পরিস্থিতিতে অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেওয়ার পথেই হাঁটতে চাইছে সিবিএসই বোর্ড।