যাত্রী সুরক্ষার ক্ষেত্রে বিরাট পদক্ষেপ নিচ্ছে রেলকর্তৃপক্ষ। মহিলা ও শিশুদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে এবার রেলের ১৫০০০ কোচে সিসি ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এজন্য প্রায় ৭০৫ কোটি টাকা খরচ হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
রাজধানী, দুরন্ত, শতাব্দীর মতো প্রিমিয়াম ট্রেনে এই সিসি ক্য়ামেরা বসানো হবে। এর সঙ্গেই ইএমইউ, মেমু, ডেমুতেও বসানো হবে ক্য়ামেরা। এদিকে গত বছর রেলমন্ত্রক সংসদে জানিয়েছিল, এ পর্যন্ত ২৯৩০টি রেল কোচে সিসি ক্যামেরা যুক্ত করা হয়েছে।
তবে এবার অন্তত পাঁচগুণ সিসি ক্য়ামেরা বসানো হতে পারে বলে খবর।
সূত্রের খবর, প্রায় ৬০,০০০ কোচকে কভার করতে পারে এমন সিসি ক্যামেরা বসানো হচ্ছে। তবে কেবলমাত্র দরজা, ভেস্টিবিউল এরিয়া, করিডরে এই ক্য়ামেরা থাকতে পারে। তবে কোনওভাবে যাত্রীদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তায় হস্তক্ষেপ করা হবে না।
এই সিসি ক্যামেরায় ভিডিয়ো অ্য়ানালিটিক্স ও ফেসিয়াল রেকগনিশন সিস্টেমের ব্যবস্থা থাকবে। আরপিএফ পোস্ট, ডিভিশনাল ও জোনাল হেডকোয়ার্টার থেকে এগুলি রিমোটের মাধ্যমে অপারেশন করা যাবে। প্রতিটি কোচে দুটি করে প্যানিক বাটন থাকবে। কোনওভাবে আতঙ্কের কোনও ঘটনা হলে আর পিএফ পোস্ট বা ডাটা সেন্টারে সতর্ক করা যাবে।
সূত্রের খবর, একেবারে অত্যাধুনিক ক্যামেরা বসানো হবে ট্রেনে। এর মাধ্যমে কারোর মুখকে চিহ্নিত করা যাবে। রাতেও কম লাইটেও মুখকে চিহ্নিত করা সম্ভব হবে এই বিশেষ পদ্ধতির মাধ্যমে।
রেলের ঝাঁকুনিতেও এই ধরনের ক্যামেরার কোনও সমস্য়া হবে না। তবে বর্তমানে বন্দে ভারত বা তেজস রেলে সিসিটিভির ব্যবস্থা রয়েছে।
এদিকে রেলে নানা সময়ে অপরাধমূলক নানা কার্যকলাপ হয়। কিন্তু সেই দুষ্কৃৃতীদের চিহ্নিত করতে গিয়ে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়। এর সঙ্গেই রেলের কোচে মহিলা ও শিশুদের সুরক্ষাকে নিশ্চিত করাটাও রেলের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। এক্ষেত্রে ক্যামেরা দেওয়া থাকলে অপরাধীদের চিহ্নিত করা যাবে না।
এদিকে ২০২১ সালে প্রায় ৪.২৪ লাখ কেস নথিভুক্ত করা হয়েছে। ন্যাশানাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরো অনুসারে এমনটাই খবর।
তবে রেলের কোচে সিসি ক্যামেরা বসানো থাকলে যাত্রীরাও অনেকটাই নিশ্চিন্তে থাকবেন। কোনও ভাবে চুরি ডাকাতির মতো ঘটনা হলে তাতেও অপরাধীদের চিহ্নিত করা অনেকটাই সহজতর হবে। পাশাপাশি আগাম সতর্কও হতে পারবে রেল পুলিশ। সেকারণেই সিসি টিভিতে নজর রাখা হবে।