গত ৮ ডিসেম্বর এক ভয়াবহ হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ভারতের প্রথম চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াত সহ ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এই দুর্ঘটনার পরই এ তদন্তে নেমেছিল ট্রাই সার্ভিসের তদন্তকারী দল। সেই তদন্তকারী দলের রিপোর্ট জমা পড়ল প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের কাছে। জানা গিয়েছে, রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে যে সম্ভবত মেঘলা আবহাওয়ার কারণে একটি নিয়ন্ত্রিত ফ্লাইট ইন টেরেইন (সিএফআইটি) দুর্ঘটনা ঘটেছিল সেদিন। জানা গিয়েছে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের কাছে দুর্ঘটনার বিশদ উপস্থাপন করেন তদন্তকারীরা।
এদিন দুর্ঘটনার রিপোর্ট পেশ করার সময় ভারতীয় বায়ুসেনার প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল বিবেক রাম চৌধুরী, কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা সচিব অজয় কুমার এবং সংশ্লিষ্ট তদন্ত কমিটির প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল মানবেন্দ্র সিং উপস্থিত ছিলেন৷ জানা গিয়েছে, ৪৫ মিনিট ধরে রাজনাথের সামনে নিজেদের রিপোর্ট পেশ করেন তদন্তকারীরা। তদন্ত রিপোর্টে বিশেষজ্ঞরা বেশ কিছু প্রস্তাব দিয়েছেন৷ আগামী দিনে যখনই কোনও ভিআইপি-কে চপারে নিয়ে যাওয়া হবে৷ তখন সেগুলি মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে৷
তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, দুর্ঘটনার ঠিক আগে জঙ্গলের ঢাকা পাহাড়ি এলাকার উপর দিয়ে উড়ে যাচ্ছিল হেলিকপ্টারটি৷ একটি রেললাইন ধরে সামনের দিকে এগোচ্ছিলেন পাইলট৷ সেই সময় হঠাৎই ঘন মেঘের আস্তরণের মধ্যে ঢুকে পড়ে তাঁদের চপার৷ সেই সময় জমি থেকে চপারটির উচ্চতা খুব বেশি ছিল না৷ পাইলট-সহ অন্য ক্রু-সদস্যরা সকলেই এই এলাকার সঙ্গে ওয়াকিবহাল ছিলেন৷ তাঁদের মনে হয়, মেঘের চাদর ভেদ করে কোথাও হেলিকপ্টার ‘ল্যান্ড’ না করে আরও উপরে উঠে যাওয়াই নিরাপদ হবে৷ আর তাতেই ঘটে বিপত্তি৷ উপরে ওঠার সময়ে পাহাড়ে ধাক্কা খেয়ে ভেঙে পড়ে চপারটি৷ তদন্তকারীদের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, দুর্ঘটনাগ্রস্ত হেলিকপ্টারটি চালানোর দায়িত্বে থাকা পাইলটরা গ্রাউন্ড স্টেশেনর কাছে কোনও সাহায্য চাননি৷ গ্রাউন্ড স্টেশনে আপদকালীন কোনও বার্তাও পাঠানো হয়নি৷