এবার আদমশুমারি নিয়ে সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটি নতুন করে বেশ কিছু বার্তা রেখেছে তাদের সুপারিশে। আসন্ন সময়ে হতে চলা আদমশুমারি যাতে, শুধুই তথ্য নির্ভর না হয়, তার ওপর জোর দিয়ে কমিটি জানিয়েছে, এই আদমশুমারি যেন সমাজ ও সংস্কৃতির বিভিন্ন দিক তুলে ধরে, তার দিকেও নজর দিতে হবে। একইসঙ্গে সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটি জানিয়েছে, রেজিস্টারার জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার আওতায় এই আদমশুমারি সম্পর্কিত আলাদা বিশেষজ্ঞ গোষ্ঠী তৈরি করার কথা।
সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটির দেওয়া সুপারিশে একাধিক বক্তব্য রাখা হয়েছে আদমশুমারি নিয়ে। উল্লেখ্য, গুণগতভাবে যাতে ওই আদমশুমারির ঘরানায় পরিবর্তন করা হয়, তার ওপর জোর দিয়েছে স্ট্যান্ডিং কমিটি। আদমশুমারির এই ঘরানা পরিবর্তনের হাত ধরে যাতে দেশের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক দিকগুলির বাস্তব ছবি ফুটে ওঠে রিপোর্টে তার পক্ষে সায় দিয়েছে কমিটি। উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রধান কংগ্রেস নেতা আনন্দ শর্মা। কমিটির রিপোর্ট বলছে, 'কমিটি, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২২-এ অনুষ্ঠিত সভায় আলোচনা করেছিল যে আদমশুমারিটি কেবল তথ্য ভিত্তিক হওয়া উচিত নয়, বরং এটি সংস্কৃতি এবং সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি চিত্রিত করা উচিত।' এক্ষেত্রে প্রাক স্বাধীনতা যুদের প্রেক্ষিতে বর্তমান সামাজিক ও সাংস্কৃতিক গতিবিধি দেশে কোনদিকে যাচ্ছে তার বাস্তব চিত্র ফুটিয়ে তোলা যাতে রিপোর্টে হয় ,তার পক্ষে সওয়াল করেছে কমিটি।
সোমবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক বিষয়ক সংসদীয় কমিটির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যাতে দেশের বিভিন্ন সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, বৈচিত্রকে আদমশুমারির রিপোর্টে তুলে ধরা হয়, তার পক্ষে অগ্রসর হতে হবে। উল্লেখ্য, গত ১৪ ফেব্রুয়ারির বৈঠকে সংসদীয় কমিটি একাধিক খুঁত খুঁজে পেয়েছে এই রিপোর্টের ক্ষেত্রে। গত শুমারির ক্ষেত্রে প্রভিন্সিয়াল রেজিস্টারার বা অফিসাররা কোনও বার্ষিক রিপোর্ট লেখেননি এক্ষেত্রে। এবিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে কমিটি জানিয়েছে, যাতে এবার থেকে লেখা হয় এই বার্ষিক রিপোর্ট। উল্লেখ্য, ২০২১ সালে দুটি ভাগে ভাগ করে তৈরি হয়েছিল আদমশুমারির রিপোর্ট। প্রথম ভাগে ছিল বাড়ির সংখ্যার তালিকা তৈরি, দ্বিতীয়ভাগে ছিল জনগণনা। প্রথম পর্যায়ে বাড়ির সংখ্যা ও আবাসস্থলের পরিসংখ্যান উঠে আসে। পরের ভাগে উঠে আসে, জনগণনার অঙ্ক।