২০৪৭ সালের মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তন প্রতিরোধে বিশ্ববাসীর আশা পূর্ণ করবে শতায়ু ভারত। রাষ্ট্রপুঞ্জের জলবায়ু সংক্রান্ত ভার্চুয়াল সম্মেলনে এমনই দাবি করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
প্যারিস চুক্তির পঞ্চম বার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার আয়োজিত সম্মেলনে মোদী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন রোধের কথাচিন্তা করার মাঝে আমরা যেন ইতিমাসকে স্মরণে রাখি। প্যারিস চুক্তি অনুসারে বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্র কী কী পদক্ষেপ ইতিমধ্যে করেছে, তা যেন আমরা ভুলে না যাই। তিনি পবলেন, ‘আমাদের আগামী পরিকল্পনাগুলি সংস্কার করাই শুধু নয়, ইতিমধ্যে স্থির করা নিশানাগুলিকেও খতিয়ে দেখা দরকার। তবেই ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে আমাদের জোরালো কণ্ঠস্বর পৌঁছতে পারে। প্যারিস চুক্তিতে উল্লিখিত লক্ষ্য পূরণই শুধু নয়, ভারত তা ছাপিয়ে গিয়ে আশাতীত সাফল্য লাভ করবে।’
সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘২০০৫ সালের তুলনায় দূষণের পরিমান ২১% কমিয়েছে ভারত। আমাদের সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহার ২০১৪ সালে ছিল ২.৬৩ গিগাওয়াট, যা ২০২০ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৬ গিগাওয়াট। আমাদের পুনর্ব্যবহারযোগ্য বিদ্যুৎশক্তি বর্তমানে বিশ্বে চতুর্থ সর্বোচ্চ। ২০২২ সালের আগেই তা পৌঁছে যাবে ১৭৫ গিগাওয়াটস-এ। আর ২০৩০ সালে আমরা ৪৫০ গিগাওয়াট পুনর্ব্যবহারযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম হব।’
এর পরেই প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০৪৭ সালে আধুনিক স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে শতবর্ষ পূর্ণ করবে ভারত। এই গ্রহরে সমস্ত সহ-নাগরিকদের কাছে আজ প্রতিজ্ঞা করছি, শতায়ু ভারত শুধু নিজের লক্ষ্যপূরণই করবে না, আপনাদের আশার অতিরিক্ত অনেক কিছুই করবে।’
সম্মেলনের আগে ভারত জানিয়েছিল যে, প্যারিস চুক্তির সব শর্তাবলী পূরণই শুধু নয়, বিশ্বের বায়ুদূষণ বৃদ্ধিতে বড়সড় অবদান রাখা দেশগুলি এখনও পর্যন্ত বিশেষ অগ্রগতি দেখায়নি।