গত ১০ই মার্চ মোদী বলেছিলেন, ‘যখন এই স্বাধীন এজেন্সি দুর্নীতির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিচ্ছে তখন ওই লোকজনরা ও তাদের গোটা ইকো সিস্টেম দুর্নীতিকে আড়াল করতে এজেন্সিকে অপদস্থ করছে।’
পাঁচ রাজ্য়ের বিধানসভা ভোটের ফলাফলের অন্তত চার রাজ্যে বাম্পার ফল হয়েছে বিজেপির। এরপরই বিজয় সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে নরেন্দ্র মোদী অভিযোগ তুলেছিলেন, বিরোধীরা কেন্দ্রীয় এজেন্সির উপর চাপ তৈরি করছে। গত ১০ই মার্চ মোদী বলেছিলেন, ‘যখন এই স্বাধীন এজেন্সি দুর্নীতির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিচ্ছে তখন ওই লোকজনরা ও তাদের গোটা ইকো সিস্টেম দুর্নীতিকে আড়াল করতে এজেন্সিকে অপদস্থ করছে।’
এদিকে মোদীর দাবিকে উড়িয়ে দিয়ে শিবসেনার দাবি, উত্তরপ্রদেশের ভোটে বিজেপির জয় নিশ্চিত করতে বড় ভূমিকা নিয়েছিল কেন্দ্রীয় এজেন্সি। তার সবথেকে বড় প্রমাণ যে, মায়াবতী ভোট প্রক্রিয়া থেকে কিছুটা দূরে ছিলেন। শনিবার শিবসেনার মুখপত্র সামনায় লেখায় হয়েছে, ‘মায়াবতীর বহুজন সমাজ পার্টি ভোটের লড়াই থেকে দূরে ছিল। এর জেরে ভোট বিজেপির দিকে ঘুরে যায় ও তাতে লাভ হয় বিজেপির। একটা সময় মায়াবতী বাঘিনীর মতো রাজ করতেন। কিন্তু তাঁর হিসাব বহির্ভূত সম্পত্তির জেরে কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে চাপ তৈরি করে তাঁকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখা হল। বিজেপির জয়ের পেছনে কেন্দ্রীয় এজেন্সির প্রেসার একটা বড় ফ্যাক্টর।’
আরও লেখা হয়েছে, ‘প্রধানমন্ত্রী বলছেন বিরোধীরা এজেন্সিকে চাপ দেয়। তাঁর দাবির সঙ্গে সাধারণ মানুষ একমত নন। এই চাপের কৌশল ঠিক কী সেটা মায়াবতীকে দেখলেই বোঝা যাবে।’ তবে শিবসেনার মুখপত্রের বক্তব্য় নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি বিজেপি।