কেন্দ্রীয় সংস্থা ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ এগ্রিকালচারের (আইসিএআর) তরফে সম্প্রতি একটি রিপোর্ট পেশ করে হয়েছে। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী, অন্যান্য রাজ্যকে পিছনে ফেলে কৃষকদের আয়ের ভিত্তিতে একেবারে শীর্ষে রয়েছে পশ্চিমবাংলা। রিপোর্ট বলছে, এ রাজ্যে কৃষকদের আয় দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও ক্ষমতায় আসার পরে কৃষকদের আয় ২০২২ সালের আগস্টের মধ্যে কৃষকদের আয় দ্বিগুণ বৃদ্ধি করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু, আদৌও কি কেন্দ্র সরকার সেই লক্ষ্য পূরণ করতে পেরেছে? লোকসভায় বিরোধীদের সেই প্রশ্ন কার্যত এড়িয়ে গেল মোদী সরকার।
বিরোধীদের সেই প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর শুধু জানান কৃষকদের আয় বেরিয়েছে। কৃষকদের আয় দ্বিগুণ হয়েছে কিনা তার উত্তর না দিয়ে তিনি বলেন, ২০১৩ সালের তুলনায় ২০১৮ সালে কৃষকদের আয় বেড়েছে। এর খতিয়ান দিয়ে তিনি বলেন, ২০১৩ সালে যেখানে কৃষকদের মাথাপিছু মাসিক আয় ছিল ৬৪২৪ টাকা, সেই জায়গায় ২০১৮ সালে কৃষকদের আয় বেড়ে হয়েছে ১০,২১৮ টাকা। অর্থাৎ কৃষকদের আয় যে দ্বিগুণ হয়েছে তা জোর গলায় বলতে পারেনি কেন্দ্র সরকার। এ প্রসঙ্গে কিসান মোর্চার নেতা হান্নান মোল্লা অভিযোগ করেন, ‘কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করে দেওয়ার মতো প্রতিশ্রুতি দিয়ে চাষিদের বোকা বানাতে চাইছে কেন্দ্র সরকার।’
গত বছর কৃষক আন্দোলনের মুখে পড়ে কেন্দ্র সরকার ফসলের ন্যূনতম দাম বা এমএসপি’র আইনি গ্যারান্টি নিয়ে একটি কমিটি তৈরি করার আশ্বাস দিয়েছিল। সেই কমিটি তৈরিও হয়েছে কেন্দ্রের প্রাক্তন কৃষি সচিব সঞ্জয় আগরওয়ালের নেতৃত্বে। সেই কমিটিতে কৃষক সংগঠনগুলির যৌথমঞ্চ সংযুক্ত কিসান মোর্চার ৩ প্রতিনিধিকে রাখার কথাও ছিল। কিন্তু, মোর্চার নেতাদের সিদ্ধান্ত তাদের কোনও প্রতিনিধি কমিটিতে থাকবেনা।
এর কারণ হিসেবে কিসান মোর্চার নেতা হান্নান মোল্লা জানিয়েছেন, ওই কমিটিতে শুধুই সরকারের প্রতিনিধি এবং সরকারের অনুগত লোকজন রয়েছে। প্রাক্তন কৃষি সচিব আগরওয়াল কৃষক বিরোধী কৃষি আইনের খসড়া তৈরি করেছিলেন অথচ তাকেই কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে। এখানে আলোচনা কোনও সুযোগ নেই। তিনি আরও অভিযোগ করেছেন, অন্যান্য যেসব কৃষক নেতাকে এই কমিটিতে রাখা হয়েছে তারা সকলেই কৃষি আইনের পক্ষে। তারা বিজেপি এবং আরএসএস-এর সঙ্গে যুক্ত।