আইনশৃঙ্খলা নিয়ে টুইট করে তিন দিনের সফরে দিল্লিতে গিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। এই টুইট নিয়ে অবশ্য রাজ্যপালকে বিঁধেছে রাজ্য সরকার। বুধবার তিনি দেখা করলেন কেন্দ্রীয় কয়লা ও পরিষদীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশীর সঙ্গে। এমনকী বৈঠকও করলেন। দু’জনের মধ্যে একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় বলে জানা গিয়েছে। সেখানে রাজ্যের বিষয়ও উঠে এসেছে বলে সূত্রের খবর। তবে এই বৈঠক নিয়ে কেউ সেভাবে মুখ খোলেননি।
রাজ্যে একুশের নির্বাচনের পরে হিংসা নিয়ে সরব হয়েছে বিজেপি। এমনকী বিজেপির বিধায়কদের নিয়ে রাজ্যপালের দ্বারস্থ হন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তারপর রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সুর চড়াতে দেখা যায় জগদীপ ধনখড়কেও। রাজ্যকে নিরপেক্ষভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন। যদিও তাঁর লেখা চিঠি তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে দেন। তখন রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতর থেকেও সোশ্যাল মিডিয়াতেই জবাব দেওয়া হয়। তিনি সাংবিধানিক রীতিনীতি ভাঙছেন এবং অতিরঞ্জিত তথ্য পেশ করেছেন বলে সোচ্চার হয় শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস।
রাজভবন সূত্রে খবর, সোমবার সন্ধ্যার বিমানে দিল্লি গিয়েছেন রাজ্যপাল। তিন দিনের সফর শেষ করে ফিরবেন ১৮ জুন। এই তিনদিনে দিল্লিতে একাধিক কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করবেন রাজ্যপাল। দেখা করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গেও। সেখানে তিনি রাজ্যের নির্বাচন পরবর্তী হিংসার তথ্য তুলে ধরবেন বলে খবর। সেই সমস্ত নথিপত্র তৈরি করে নিয়ে গিয়েছেন তিনি।
সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় কয়লামন্ত্রীকে কয়লা পাচার ও দুর্নীতি নিয়ে বেশকিছু তথ্য দিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তবে সেখানে কাদের নাম যুক্ত করেছেন তা জানা যায়নি। রাজধানীতে পৌঁছনোর পর প্রথমেই তিনি কেন্দ্রীয় কয়লা ও পরিষদীয় বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশীর সঙ্গে দেখা করেন। বৈঠকের পর তিনি টুইটে লেখেন, ‘বিভিন্ন বিষয়ে কেন্দ্রীয় কয়লা ও সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশীর সঙ্গে ইতিবাচক আলোচনা হল।’ রাজ্যপালের দিল্লি সফর নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায় বলেন, ‘রাজ্যের কোনও বিষয়ে রাজ্যপাল সরাসরি দিল্লির মন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলতে পারেননি। নিয়ম বহির্ভূত কাজ করছেন তিনি।’