উৎসবের মরশুমে বোনাসের দাবিতে ক্রমশ চাপ বাড়ছিল। আগামিকাল (বৃহস্পতিবার) দেশজুড়ে দু'ঘণ্টার ধর্মঘটেরও ডাক দিয়েছে রেলকর্মীদের একটি সংগঠন। অন্যান্য অংশের কর্মচারীদের মধ্যেও ক্ষোভের মাত্রা বাড়ছিল। তারইমধ্যে পঞ্চমীতে সরকারি কর্মচারীদের জন্য ৩,৭৩৭ কোটি টাকার বোনাসে অনুমোদন দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা।
বুধবার দুপুরে সাংবাদিক বৈঠকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর বলেন, ‘২০১৯-২০ অর্থবর্ষের জন্য প্রোডাক্টিভিটি এবং নন-প্রোডাক্টিভিটি বোনাসে অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। তার ফলে ৩০ লাখের বেশি নন-গেজেটেড সরকারি কর্মচারী লাভবান হবেন এবং সেই ঘোষণার জন্য খরচ পড়বে ৩,৭৩৭ কোটি টাকা।’
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন, দশমীর আগেই সরাসরি সরকারি কর্মচারীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সেই বোনাসের টাকা পৌঁছে যাবে। অর্থাৎ আগামী সোমবারের মধ্যেই উৎসবের মরশুমে বোনাস পেয়ে যাবেন সরকারি কর্মচারীরা। জাভড়েকর বলেন, ‘এর ফলে বাজারে চাহিদা বৃদ্ধি পাবে।’
কেন্দ্রের বোনাস অনুমোদনের ফলে রেল, ভারতীয ডাক, এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন (ইপিএফও), এমপ্লয়িজ স্টেট ইনসিওরেন্স কর্পোরেশনের (ইএসআইসি) মতো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ১৭ লাখ নন-গেজেটেড কর্মী ‘প্রোডাক্টিভিটি’ বোনাস পাবেন। ‘নন-প্রোডাক্টিভিটি’ বোনাস পাবেন বাকি ১৩ লাখের মতো কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মী।
‘প্রোডাক্টিভিটি’ বোনাসের অর্থ হল যে চাকরির ক্ষেত্রে কোনও একজন কর্মীর কতটা ভালো কাজ করছেন, তা পরিমাপ করা হয়। যেমন - রেল, কয়লা ইত্যাদি ক্ষেত্রের কর্মীরা সেই ‘প্রোডাক্টিভিটি’ বোনাস পান। কিন্তু অনেক চাকরির ক্ষেত্রে সেই সুবিধা নেই। সেক্ষেত্রে মোটামুটি এক মাত্রা ধরে ‘নন-প্রোডাক্টিভিটি’ বোনাস দেওয়া হয়। যেমন -বিজ্ঞানজাতীয় ক্ষেত্র। তবে ‘নন-প্রোডাক্টিভিটি’ বোনাসের থেকে ‘প্রোডাক্টিভিটি’ বোনাসের পরিমাণ বেশি হয়।