নরেন্দ্র মোদীর সরকারের তৃতীয় মেয়াদে প্রথম এবং টানা সপ্তমবার কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। একাধিক প্রকল্প ঘোষণার পাশাপাশি পর্যটনের প্রচারের ওপরেও বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে মন্দির সংলগ্ন শহরগুলিতে পর্যটনে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বাজেটে। উত্তর প্রদেশের বারাণসীর কাশী বিশ্বনাথ মন্দির করিডরের আদলে বিষ্ণুপদ মন্দির করিডর এবং মহাবোধি মন্দির করিডর তৈরি করা হবে বলে এদিন বাজেটে ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। কেন্দ্রীয় সরকার এই মন্দির শহরগুলিকে বিশ্বমানের পর্যটন হাব হিসেবে গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এছাড়া, রাজীগর মন্দিরের উন্নয়নের কথাও ঘোষণা করা হয়েছে বাজেটে। বিহারের নালন্দাকেও পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সাহায্য করার কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্র।
আরও পড়ুন: বাজেটের আগেই বড় সিদ্ধান্ত সরকারের, কমতে পারে ভারতে তৈরি মোবাইলের দাম
অর্থমন্ত্রী সীতারামন ঘোষণা করেছেন, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি বাড়ানোর লক্ষ্যে পরবর্তী সংস্কারের সূচনা করতে একটি অর্থনৈতিক নীতি কাঠামো চালু করা হবে। সরকার ওড়িশাকে পর্যটনে উন্নয়নে সাহায্য করবে। তিনি আরও বলেন, ‘পর্যটন সবসময়ই আমাদের সভ্যতার একটি অংশ। ভারতকে একটি বৈশ্বিক গন্তব্য হিসাবে স্থান দেওয়ার জন্য আমাদের যে চেষ্টা তা কর্মসংস্থানের সুযোগ এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে মানুষের উপার্জনের সুযোগ গড়ে তুলবে। আধ্যাত্মিক গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে আমি গয়ার বিষ্ণুপদ মন্দির এবং বুদ্ধগয়ার মহাবোধি মন্দিরের নাম প্রস্তাব করছি। এগুলিকে বিশ্বমানের পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে পরিণত করার জন্য করিডর তৈরি করব। বিহারকে আমরা পর্যটনের উন্নয়নে সাহায্য করা হবে।’
প্রসঙ্গত, ওড়িশায় দুদশকেরও বেশি সময় ধরে থাকা নবীন পট্টনায়েকের বিজেডি সাম্রাজ্যের পতন ঘটিয়ে সেখানে প্রথমবার ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি। ফলে পর্যটন মানচিত্রে ওড়িশাকেও বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে কেন্দ্র। ওড়িশায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, মন্দির, কারুকাজ, বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য এবং সমুদ্র সৈকত রয়েছে। সেগুলিকে পর্যটনের জন্য কেন্দ্র সরকার কাজে লাগাতে চাইছে।
উল্লেখ্য, গত ২২ জুলাই পর্যটন খাতে অর্থনীতি নিয়ে একটি সমীক্ষার রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। তাতে দাবি করা হয়েছে, করোনাকালে ব্যাপকভাবে ভারতের পর্যটন শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। তবে সেই দুরবস্থা ঘুঁচিয়ে ২০২৩ সালে প্রায় ৯২ লক্ষ বিদেশি পর্যটক ভারতে এসেছিল। সংসদে পেশ করা এই সমীক্ষায় বলা হয়েছে যে করোনার পর ভারতের পর্যটন শিল্প পুনরায় ঘুরে দাঁড়িয়েছে। ৪৩.৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে বিদেশি পর্যটকদের সংখ্যা।