Union budget 2024: জোট ধর্ম মেনে অন্ধ্র-বিহারের জন্য বিপুল বরাদ্দ নির্মলার!

বাজেট অধিবেশনে সংসদে বক্তব্য রাখার সময় নির্মলা সীতারামণ বলেন, ‘দেশের পূর্বাঞ্চলের উন্নয়নের জন্য আমরা পূর্বোদয়া পরিকল্পনা প্রণয়ন করব। গয়া অমৃতসর-কলকাতা করিডোরে শিল্প অনুমোদনের উন্নয়নে সমর্থন করব।’ এছাড়াও সড়ক যোগাযোগের জন্য বিহারে ২৬ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করার কথা ঘোষণা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ কেন্দ্রীয় বাজেট ২০২৪-২৫ পেশ করছেন।২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় সরকার গঠনের জন্য শরিকদের ওপর ভরসা করতে হয়েছে বিজেপিকে। তাই জোট শরিক নীতিশ কুমার এবং চন্দ্রবাবু নাইডুর চাপের মুখে পড়ে বাজেটে বিহার এবং অন্ধপ্রদেশের উপর বিশেষ গুরুত্ব দিল কেন্দ্র। দুই রাজ্যের জন্য ঘোষণা করা হল বিশেষ প্যাকেজ। একদিকে যেমন অন্ধপ্রদেশের জন্য বাড়তি অনুদান ঘোষণা করা হল, তেমনি বিহারের উন্নয়নেও একাধিক প্রকল্পের কথা এদিন বাজেটে ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।

বাজেট অধিবেশনে সংসদে বক্তব্য রাখার সময় নির্মলা সীতারামন বলেন, ‘দেশের পূর্বাঞ্চলের উন্নয়নের জন্য আমরা পূর্বোদয়া পরিকল্পনা প্রণয়ন করব। গয়া অমৃতসর-কলকাতা করিডোরে শিল্প অনুমোদনের উন্নয়নে সমর্থন করব।’ এছাড়াও সড়ক যোগাযোগের জন্য বিহারে ২৬ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। পাটনা-পূর্ণিয়া এক্সপ্রেসওয়ে, বক্সার-ভাগলপুর হাইওয়ে, বোধগয়া-রাজগীর-বৈশালী-দরভাঙ্গা হাইওয়ে এবং বক্সারের গঙ্গা নদীর উপর একটি অতিরিক্ত দুই লেনের সেতুর উন্নয়নেও বিহারকে এই অর্থ সাহায্য করবে কেন্দ্র। এছাড়াও বিভিন্ন উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিহারের অনুরোধ ত্বরান্বিত করবে কেন্দ্র।বিহারে নতুন বিমানবন্দর, মেডিক্যাল কলেজ এবং ক্রীড়া পরিকাঠামো তৈরি করা হবে। তিনি জানান, বন্যা নিয়ন্ত্রণে বিহারকে সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকার সাহায্য করা হবে।

অন্যদিকে, অন্ধ্রপ্রদেশ পুনর্গঠন আইনের অধীনে প্রতিশ্রুতি পূরণের জন্য রাজ্যকে সাহায্য করার কথা ঘোষণা করেন নির্মলা। তিনি জানান, অন্ধ্রপ্রদেশের নতুন রাজধানী অমরাবতীর উন্নয়নের জন্য চলতি অর্থবছরে ১৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হবে। এছাড়াও আরও একাধিক আর্থিক প্যাকেজ দেওয়া হবে। পিছিয়ে পড়া অঞ্চলের জন্য অনুদান অন্ধ্রপ্রদেশ পুনর্গঠন আইন অনুযায়ী দেওয়া হবে। এছাড়াও অন্ধ্রপ্রদেশের বিভিন্ন জেলায় পরিকাঠামো উন্নয়ন, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের ওপর জোর দেবে কেন্দ্র। রাজনৈতিক মহলের মতে, বিজেপি এখন শরিকদের ওপর নির্ভরশীল। তাই বাজেটে দুই শরিকদের দাবি দাওয়ার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।