৩১ মাস পর চিনি রফতানির উপর আংশিকভাবে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল ভারত সরকার। গত সোমবার কেন্দ্রের তরফে এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে। চলতি বছরে সেপ্টেম্বরের মধ্যে ১০ লক্ষ টন চিনি বিদেশে রফতানি করা যাবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। এই পদক্ষেপের ফলে চাষিরা উপকৃত হবে বলে মনে করছে কেন্দ্র।
আরও পড়ুন: চিনি ভুলে যান, বরং ব্যবহার করুন এই সিরাপ! মিষ্টিও হবে, স্বাস্থ্যও ভালো থাকবে
চিনির রফতানির উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পরে খাদ্যমন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী এক্স পোস্টে লিখেছেন, যে এই পদক্ষেপটি মূল্যের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করবে, পাঁচ কোটি কৃষক পরিবার এবং পাঁচ লক্ষ শ্রমিককে উপকৃত করবে। এছাড়াও এই সিদ্ধান্তের ফলে চিনির খাত আরও শক্তিশালী হবে। উল্লেখ্য, অভ্যন্তরীণ মূল্য নিয়ন্ত্রণের জন্য ২০২৩ সালের অক্টোবরে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করেছিল কেন্দ্র।
কেন্দ্রীয় খাদ্য মন্ত্রক আরও বলেছে, যে এই সিদ্ধান্ত কৃষকদের সময়মত অর্থ প্রদান নিশ্চিত করবে। জানা যাচ্ছে, অতিরিক্ত চিনি রফতানির সুবিধার মাধ্যমে সরকার দেশীয় বাজারে একচেটিয়া আধিপত্য রোধ করতে চায়। এরফলে চিনির দামে তীব্র পতন ঘটাতে পারে আশঙ্কা করেছিল কেন্দ্র। আর স্বাভাবিকভাবেই তাতে আখ চাষিদের জীবনযাত্রার উপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। সেই কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। এই পরিমাণ চিনি রফতানির ফলে ভারতীয় চিনিকলগুলি মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করতে পারবে। ব্যবসায়ীর মতে, ১০ লক্ষ টন উদ্বৃত্ত চিনি রফতানির ফলে দেশীয় চিনি শিল্পকে অত্যন্ত বড় স্বস্তি প্রদান করতে সাহায্য করবে।
ভারতের খাদ্যমন্ত্রী সোমবার বলেছেন, সরকারের সিদ্ধান্ত মূল্য স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করবে। উল্লেখ্য, চিনি উৎপাদনে বিশ্বের মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছে ব্রাজিল। আর তারপরেই দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। ভারত মূলত চিনি রফতানি করে থাকে ইন্দোনেশিয়া, বাংলাদেশ এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত সহ অন্যান্য দেশগুলিকে। এই রফতানি প্রমাণ করে চিনির বৈশ্বিক চাহিদা মেটাতে ভারতের উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রক সূত্রের খবর ২০২৩-২৪ বিপণন মরশুমে ভারত চিনির রফতানির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কারণ সেই সময় দেশে কম উৎপাদন হয়েছিল। সেই কারণে দাম নিয়ন্ত্রণের জন্য চিনির রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কেন্দ্র।