বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > Gov’s Affidavit to SC on UCC: আইন প্রণয়নের নির্দেশ দিতে পারে না SC,অভিন্ন দেওয়ান বিধি নিয়ে মামলা খারিজের দাবি কেন্দ্রের

Gov’s Affidavit to SC on UCC: আইন প্রণয়নের নির্দেশ দিতে পারে না SC,অভিন্ন দেওয়ান বিধি নিয়ে মামলা খারিজের দাবি কেন্দ্রের

অভিন্ন দেওয়ান বিধি নিয়ে দায়ের করা আবেদন খারিজের দাবি জানাল কেন্দ্রীয় সরকার। (ছবি - পিটিআই) (HT_PRINT)

অভিন্ন দেওয়ান বিধি নিয়ে দায়ের করা আবেদন খারিজের দাবি জানাল কেন্দ্রীয় সরকার। যদিও সরকারের বক্তব্য, ‘বিভিন্ন ধর্মের লোকেরা যেভাবে বিভিন্ন ব্যক্তিগত আইন অনুসরণ করে, তা দেশের ঐক্যের জন্য ক্ষতিকর।’

আইন প্রণয়নের সার্বভৌম অধিকার রয়েছে শুধুমাত্র সংসদের। তাই সরকারকে কোনও আইন প্রণয়নের নির্দেশ জারি করা যেতে পারে না। অভিন্ন দেওয়ান বিধি প্রণয়নের দাবিতে করা আবেদনের প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টে এমনটাই বলল কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রক। পাশাপাশি এই আবেদনের কোনও ভিত্তি নেই বলে সেটিকে খারিজ করার দাবিও জানায় কেন্দ্র। বিয়ে, বিচ্ছেদ, উত্তরাধিকার সহ বিভিন্ন বিষয়ে অভিন্ন আইন নিয়ে মামলার পিটিশন জমা করেছিলেন আইনজীবী অশ্বিনী উপাধ্যায়। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করতে বলে কেন্দ্রেকে হলফনামা জমা করতে বলেছিল সুপ্রিম কোর্ট। এর প্রেক্ষিতে হলফনামা পেশ করে কেন্দ্র বলে, ‘আইন প্রণয়নের ক্ষমতা রয়েছে শুধুমাত্র সংসদের কাছে। বাইরের কোনও কর্তৃপক্ষ নির্দিষ্ট আইন প্রণয়নের নির্দেশ জারি করতে পারে না।’

কেন্দ্রের কথায়, ‘এটি (আইন প্রণয়ন) জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার নীতির বিষয়। এ বিষয়ে আদালত কোনও নির্দেশনা জারি করতে পারে না। আইন প্রণয়ন করা বা না করা আইনসভার দায়িত্ব।’ এদিকে অভিন্ন দেওয়ানি বিধির পক্ষে আবেদনকারীর যুক্তি, তৃতীয় ব্যক্তির সঙ্গে সম্পর্কের জেরে ডিভোর্স হতে পারে হিন্দু, খ্রিস্টান ও পার্সিদের কিন্তু মুসলিমদের সেই নিয়ম নেই। আবার বন্ধ্যত্ব হিন্দু ও মুসলিমদের ক্ষেত্রে ডিভোর্সের কারণ হতে পারে কিন্তু আইনস্বরূপ সেটি ক্রিস্টান ও পার্সিদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। একই ভাবে দত্তক নেওয়ার ক্ষেত্রে হিন্দুদের নির্দিষ্ট আইন আছে কিন্তু অন্যদের নেই। এই আবহে আবেদনকারী অশ্বিনী উপাধ্যায়ের দাবি, সব ধর্মের মহিলাদের সমান অধিকার থাকা উচিত।

এদিকে হলফনামায় কেন্দ্রের তরফে আরও বলা হয়, ‘বিভিন্ন ধর্মের লোকেরা যেভাবে বিভিন্ন ব্যক্তিগত আইন অনুসরণ করে, তা দেশের ঐক্যের জন্য ক্ষতিকর।’ প্রসঙ্গত, সংবিধানের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৪৪ নম্বর ধারায় উল্লেখ রয়েছে, সরকারের দায়িত্ব সারা দেশে অভিন্ন দেওয়ানি আইন কার্যকরের বিষয়টি নিশ্চিত করা। এই বিধানের উদ্দেশ্য হল ‘ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র’ স্থাপন করা। সামাজিক সম্পর্ক এবং ব্যক্তিগত আইন থেকে ধর্মকে বিচ্ছিন্ন করে বিবাহ, বিবাহবিচ্ছেদ, উত্তরাধিকার, রক্ষণাবেক্ষণ, সন্তানর অভিভাবকত্ব এবং দত্তক নেওয়ার মতো বিষয়ে সকল নাগরিকের জন্য সাধারণ আইন লাগুর কথা বলে সংবিধানের ৪৪ নং ধারা। এই আবহে সরকারের তরফে জানানো হয়, এই বিষয়ে সরকার আইন কমিশনের মতামত জানতে চেয়েছিল। তবে ২১তম আইন কমিশনের মেয়াদ শেষ হয় ২০১৮ সালে। ২২তম আইন কমিশন গঠিত হয়েছে। এর সদস্য নিয়োগ হলে কমিশনের সামনে বিষয়টি উত্থাপন করবে কেন্দ্র।

বন্ধ করুন