দেশের ১১ জন স্বনামধন্যা নারীর নামে চেয়ার স্থাপন করতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। আর এর মধ্যে ৪ জনই বাঙালি। তালিকায় রয়েছে রসায়নবিদ অসীমা চট্টোপাধ্যায়, চিকিৎসক কাদম্বিনী গঙ্গোপাধ্যায়, ইঞ্জিনিয়ার রাজেশ্বরী চট্টোপাধ্যায় ও পদার্থবিদ বিভা চৌধুরী।
রবিবার এক টুইটে এই তালিকা প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। তিনি লিখেছেন, ছাত্রীরা যাতে বিজ্ঞান বিষয়ে পড়াশুনো করে উৎকর্ষের শীর্ষে পৌঁছনোর স্বপ্ন দেখে সেজন্য কেন্দ্রীয় সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলিতে চেয়ার তৈরি করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
জৈব রসায়নে গবেষণায় একাধিক স্বীকৃতি পেয়েছিলেন অসীমা চট্টোপাধ্যায়। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপিকা অসীমাদেবী লেডি ব্রেবোর্ন কলেজের ছাত্রী ছিলেন। ১৯১৭ সালে জন্ম তাঁর। জৈব রসায়নে স্বতন্ত্র গবেষণার জন্য বহু স্বীকৃতি পেয়েছেন তিনি।
দেশের দ্বিতীয় মহিলা চিকিৎসক ছিলেন কাদম্বিনী গঙ্গোপাধ্যায়। আদপে বরিশালের বাসিন্দা হলেও বিহারের ভাগলপুরে বসবাস করতেন কাদম্বিনী দেবীর বাবা। কলকাতার বেথুন কলেজে পড়াশুনো করেন তিনি। ১৮৮২ সালে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে পড়াশুনো করেন। তার পর ব্রিটেন থেকে লাভ করেন একাধিক ডিগ্রি।
বাঙালি হলেও রাজেশ্বরী চট্টোপাধ্যায় জন্ম ও বেড়ে ওঠা কর্নাটকে। ১৯২২ সালে জন্মান তিনি। তিনিই কর্নাটকের প্রথম মহিলা ইঞ্জিনিয়ার। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অফ মিশিগানে পড়াশুনো করেন তিনি। ফিরে এসে বেঙ্গালুরুর IISc-তে যোগ দিয়ে বৈদ্যুতির দূরসঞ্চার নিয়ে গবেষণা করেন রাজেশ্বরী দেবী।
পদার্থবিদ বিভা চৌধুরীর জন্ম হয় ১৯১৩ সালে। তাঁর গবেষণা ছিল কসমিক রে নিয়ে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশুনো করেন তিনি। কসমিক রে বায়ুমণ্ডলে আঘাত হানলে কী প্রতিক্রিয়া হয় তা নিয়ে বিভা দেবীর গবেষণা বিশ্বময় স্বীকৃতি পায়।