কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ বিস্তর। একের পর এক প্রকল্পের টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার। বিপুল পরিমাণ বকেয়া দিচ্ছে না। তার উপর বাংলা থেকে জিএসটি বাবদ বড় অঙ্কের টাকা তুলে নিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু রাজ্যের প্রাপ্য দিচ্ছে না বলে বারবার অভিযোগ করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তার মধ্যেই এবার আগেরবারের তুলনায় টাকার পরিমাণ অনেকটাই বেশি করে বরাদ্দ করা হল বাংলার জন্য। রাজ্যগুলিকে কর বাবদ টাকা বন্টন করল কেন্দ্রীয় সরকার। বাংলা পেল ১৩ হাজার ১৭ কোটি টাকা। এই বাড়তি টাকা রাজ্যগুলিকে উন্নয়নের কাজ করতে সাহায্য করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
আগামী ১ ফেব্রুয়ারি সাধারণ বাজেট। তার আগেই রাজ্যগুলিকে করের টাকা বরাদ্দ করল কেন্দ্রীয় সরকার। যাতে বাজেটের সময় বিরোধিতা ঠেকানো যায়। জিএসটি বাবদ প্রাপ্য বহু টাকা পাওনা রয়েছে বাংলার। এই নিয়ে বারবারই মুখ খুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের সামগ্রিক উন্নয়নের কাজ ব্যাহত হয় জিএসটির টাকা না পাওয়ার জেরে। সেখানে শুধু বাংলা নয়, দেশের সমস্ত রাজ্য থেকে কর বাবদ টাকা সংগ্রহ করে কেন্দ্রীয় সরকার। নিয়মমাফিক সেই টাকার একটা অংশ আবার ফিরিয়ে দেওয়ার কথা রাজ্যগুলি।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল অ্যারেস্ট দুর্নীতির মাস্টারমাইন্ড গ্রেফতার, বেঙ্গালুরুতে পাকড়াও করল কলকাতা পুলিশ
এবার সেই যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো মেনে নানা সময়ে কর বাবদ রাজ্যগুলিকে প্রাপ্য টাকা বন্টন করা হয়। এবারও তা করা হল। কেন্দ্রীয় সরকারে হিসেব, এবার রাজ্যগুলিকে বন্টন করা হল ১ লক্ষ ৭০ হাজার ৩০ কোটি টাকা। তার আগে, ডিসেম্বর মাসে কর বাবদ রাজ্যগুলিকে ৮৯, ০৮৬ কোটি বন্টন করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। এবার জিএসটি বাবদ বাংলার প্রাপ্য বিপুল টাকা রাজ্যগুলিকে দিল কেন্দ্রীয় সরকার। পশ্চিমবঙ্গের জন্য দেওয়া হয়েছে ১৩ হাজার ১৭ কোটি টাকা। পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় আসার পরে বাংলার উন্নয়নের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু অর্থ অনেক ক্ষেত্রেই বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এছাড়া রাজ্যের উন্নয়ন এবং জনকল্যাণ কাজের জন্য বিপুল টাকা প্রয়োজন। কর আদায় বাবদ বাংলাকে দেওয়া এই অর্থ এবার বাংলার উন্নয়নের জন্য ব্য়বহার করতে পারবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এখনও আবাস যোজনা, ১০০ দিনের কাজ–সহ বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা পাওনা রয়েছে বাংলার। মুখ্যমন্ত্রীর সাম্প্রতিক অভিযোগ, ‘আবাস যোজনায় বাংলা এক নম্বর স্থানে ছিল। তা সত্ত্বেও টাকাটা দেওয়া হয়নি। তিন বছর ধরে বাংলার গরিব মানুষগুলি বঞ্চিত হচ্ছে। ১০০ দিনের টাকা আমরা দিয়েছি।’