করোনা আবহে অক্সিজেনের ঘাটতি মেটাতে মরিয়া কেন্দ্র। করোনা পরিস্থিতির পর্যালোচনা করতে শুক্রবার দফায় দফায় বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই পরিস্থিতিতে এবার অক্সিজেন বহনকারী ট্যাঙ্কারের পরিবহণ নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। সময় মতো অক্সিজেন গন্তব্য স্থলে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে রাজ্যগুলিকে বেশ কয়েটি পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
কেন্দ্রের তরফে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে যাতে অক্সিজেন বহনকারী ট্যাঙ্কারকে অ্যআম্বুলেন্সের তকমা দিয়ে পরিবহণের ক্ষেত্রএ ছাড় দেওয়া হয়। পাশাপাশি রাজ্যগুলিকে অক্সিজেন ট্যাঙ্কারের জন্য বিশেষ করিডোর চিহ্নিত করার কথা বলেছে কেন্দ্র।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির জেলা প্রশাসকদের তাদের জেলায় অবস্থিত সমস্ত অক্সিজেন প্ল্যান্টের তালিকা লিখিতভাবে ভাবে পাঠাতে হবে কেন্দ্রকে। সেখানকার ইনস্টলড ক্ষমতা, কোন কোন ধরনের অক্সিজেন উৎপন্ন হয়, তাও জানাতে হবে কেন্দ্রকে।
এদিকে বিপর্যয় মোকাবিলা আইনকে কাজে লাগিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক বৃহস্পতিবারই অক্সিজেন সরবরাহে সমস্ত বিধিনিষেধ তুলে নেয়। নয়া নির্দেশিকার ফলে এক রাজ্য় থেকে অন্য় রাজ্য়ের মধ্য়ে অথবা রাজ্য়ের ভিতরে এক জেলা থেকে অন্য় জেলার মধ্যে অক্সিজেন সরবরাহে আর কোনও বাধা।
কেন্দ্রের নয়া নির্দেশিকায় স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, অক্সিজেন উৎপাদনকারী সংস্থাগুলির উপর এবং অক্সিজেন সরবরাহকারী সংস্থাগুলির উপর সেই রাজ্যের বা অন্য রাজ্যের কোনও হাসপাতালে অক্সিজেন সরবরাহের উপর কোনও বিধিনিষেধ আরোপ করা যাবে না।
এদিকে অন্য রাজ্যের তুলনায় সেভাবে অক্সিজেনের আকাল দেখা যায়নি এরাজ্যে। এই আবহে ২১ এপ্রিল কেন্দ্রীয় সরকারের থেকে রাজ্যের কাছে চিঠি আসে, এই রাজ্যে উৎপাদিত অক্সিজেন প্ল্যান্টগুলি থেকে অন্য রাজ্যে প্রতিদিন ২০০ মেট্রিক টন অক্সিজেন পাঠাতে হবে। সেই চিঠির জবাবে নবান্ন জানাল, প্রতিদিন ২০০ মেট্রিক টন অক্সিজেন অন্য রাজ্যে পাঠানো সম্ভব নয়। রাজ্য সরকারের দাবি, আগামীতে এই রাজ্যে অক্সিজেনের চাহিদা আরও বৃদ্ধি পাবে। সেক্ষেত্রে প্রত্যেকদিন ৪৫০ মেট্রিকটন অক্সিজেন প্রয়োজন হতে পারে। তাই আপাতত এই রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে অক্সিজেন পাঠানো বন্ধের দাবি জানিয়ে চিঠি পাঠানো হল কেন্দ্রে।