পিছিয়ে যাচ্ছে প্রথম ‘কমন এলিজিবিটি টেস্ট’ (সিইটি)। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং জানিয়েছেন, করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে সেই অভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষা পিছিযে যাচ্ছে। সম্ভবত চলতি বছরের শেষ পরীক্ষা হবে না। বরং আগামী বছরের গোড়ার দিকেই হবে পরীক্ষা।
আইএএস অফিসারদের ই-বুক প্রকাশের অনুষ্ঠানে জিতেন্দ্র দাবি করেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ব্যক্তিগত উদ্যোগ সেই অভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষার পরিকল্পনা করা হয়েছে। চলতি বছরের শেষের দিকে সেই পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনা মহামারীর কারণে তা সম্ভবত পিছিয়ে যাচ্ছে। যে পরীক্ষার জন্য ইতিমধ্যে 'ন্যাশনাল রিক্রুটমেন্ট এজেন্সি’ তৈরি করা হয়েছে।
গত বছর অগস্ট কেন্দ্রের তরফে রেল, ব্যাঙ্ক এবং কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরির নিয়োগের ক্ষেত্রে অভিন্ন ‘প্রিলিমিনারি’ পরীক্ষা নেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়। গ্রুপ 'বি' এবং 'সি' পদে (নন-টেকনিকাল পদ) অভিন্ন পরীক্ষা হবে। নয়া ব্যবস্থায় রেলওয়ে রিক্রুটমেন্ট বোর্ড (আরআরবি), ইনস্টিটিউট অফ ব্যাঙ্কিং পার্সোনেল সিলেকশন (আইবিপিএস) এবং স্টাফ সিলেকশন কমিশনের (এসএসসি) ‘প্রিলিমিনারি’ পর্যায়ে হবে একটি অভিন্ন পরীক্ষা। তার ভিত্তিতে ‘কমন এলিজিবিটি লিস্ট’ তৈরি হবে। সেই নম্বরের ভিত্তিতে প্রার্থীরা কোনও ওই তিনটি এজেন্সির শূন্যপদে আবেদন করতে পারবেন। সেই সমস্ত এজেন্সি দ্বিতীয় পর্যায়ের জন্য প্রার্থীদের নির্বাচন করবে। তারপর দ্বিতীয় এবং তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা নেবে সংশ্লিষ্ট এজেন্সি। যেমন - ব্যাঙ্কের দ্বিতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা নেবে আইবিপিএস, রেলের নেবে রেল বোর্ড। অভিন্ন পরীক্ষায় প্রার্থীরা যে নম্বর পাবেন, তা তিন বছরের জন্য বৈধ হবে। সেই তিন বছরে একজন প্রার্থী যতবার ইচ্ছা পরীক্ষা দিতে পারবেন। তার মধ্যে যে বার সবথেকে বেশি নম্বর পাবেন, তা চূড়ান্ত নম্বর হিসেবে বিবেচিত হবে। সেইসঙ্গে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছিল, প্রাথমিকভাবে তিনটি এজেন্সি সেই অভিন্ন পরীক্ষা নেবে। পরবর্তীকালে সব ২০ টি এজেন্সিকে সেই আওতায় আনা হবে। তবে শুধু কেন্দ্রের সব এজেন্সি নয়, রাজ্য সরকারগুলিও ‘কমন এলিজিবিটি লিস্ট’ ব্যবহার করতে পারে বলে জানানো হয়।