চলতি বছরই চালু হয় ভারতীয় সামরিক বাহিনীর অগ্নিপথ নিয়োগ প্রক্রিয়া। তবে এই স্কিমের ঘোষণা হতেই দেশ জুড়ে এর বিরোধিতায় আগুন জ্বলতে শুরু করেছিল। এই স্কিমের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয় দিল্লি হাই কোর্টেও। সেই সংক্রান্ত মামলার প্রেক্ষিতেই কেন্দ্রের তরফে উচ্চ আদালতে দাবি করা হল, অগ্নিপথ স্কিম ভারতীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী ও দুর্ভেদ্য করে তুলবে।
অগ্নিপথের বিরোধিতায় দিল্লির উচ্চ আদালতে বহু পিটিশন জমা পড়েছে। এরই প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার কেন্দ্রের তরফে একটি হলফনামা পেশ করা হয়। কেন্দ্রের তরফে হাই কোর্টকে বলা হয়, ‘ভারতীয় ভূখণ্ডের সীমান্তে বর্তমানে একটি বিচিত্র পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বহিরাগত এবং অভ্যন্তরীণ হুমকি থেকে দেশকে রক্ষা করার জন্য চটপটে, তরুণ এবং প্রযুক্তিগতভাবে পারদর্শী সশস্ত্র বাহিনীর প্রয়োজন। অগ্নিপথ প্রকল্পের লক্ষ্য হল বাহিনীর গড় বয়স হ্রাস করা।’
কেন্দ্রীয় সরকার আরও যোগ করে, ‘এই পদ্ধতিটি মেধা ভিত্তিক, স্বচ্ছ। এই মূল্যায়ন প্রক্রিয়াটি বেশ শক্তিশালী। যাঁরা রেগুলার ক্যাডার হতে ইচ্ছুক, সেই কর্মীদেরও ন্যায্য সুযোগ প্রদান করা হবে এই প্রক্রিয়ায়। এতে জাতীয়তাবাদী, সুশৃঙ্খল এবং দক্ষ জনশক্তি প্রদান করা যাবে সমাজকে।’ কেন্দ্রের তরফে হলফনামায় আরও বলা হয়, ‘স্কিমটি চালু করার নীতিগত সিদ্ধান্তটি নিয়েছিল ভারত সরকার। দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার্থে এবং জাতীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী, দুর্ভেদ্য করতে পরিবর্তিত সময় ও প্রয়োজনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ সামরিক বাহিনী গড়ে তোলার জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।’
সরকারের দাবি, নতুন সামরিক প্রযুক্তির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সশস্ত্র বাহিনীকে এগিয়ে নিয়ে যেতে বাহিনীর সামগ্রিক গঠনতন্ত্র এবং কাঠামো বদল প্রয়োজনীয় হয়ে উঠেছে। আদালতে জমা দেওয়া হলফনামায় কেন্দ্র আরও দাবি করে, বাজেটের খরচ কমাতে অগ্নিপথ স্কিম চালু করা হয়নি। এই অর্থ বাহিনীকে আরও শক্তিশালী এবং প্রযুক্তিগত ভাবে উন্নত করার লক্ষ্যে খরচ করা হবে। বাহিনীকে যুদ্ধের জন্য সদা প্রস্তুত রাখাই সরকারের মূল লক্ষ্য বলে দাবি করা হয় হলফনামায়। সরকারের কথায়, শারীরিক এবং মানসিকভাবে নতুন চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে সক্ষম তরুণ যুদ্ধ বাহিনী তৈরি হবে এই অগ্নিপথ স্কিমের মাধ্যমে।