দেশে ঝড়ের গতিতে ছড়াচ্ছে করোনার নয়া স্ট্রেন ওমিক্রন। সেইসঙ্গে করোনার বার বাড়ন্ত তো রয়েইছে। যার ফলে হাসপাতালগুলিতে কোভিড রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার সময় দেশজুড়ে অক্সিজেনের আকাল দেখা দিয়েছিল। বর্তমানে সারাদেশে দৈনিক সংক্রমণ যেভাবে বাড়ছে তা নিয়ে উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য কর্তারা। এই পরিস্থিতিতে সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ। বৈঠকে তিনি সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গুলিকে পর্যাপ্ত অক্সিজেনের ব্যবস্থা রাখতে বলেছেন।
অক্সিজেন ভেন্টিলেটর, পিএসএ প্ল্যান্ট, অক্সিজেন সিলিন্ডার সহ যাবতীয় অক্সিজেন সরঞ্জাম প্রস্তুত রাখতে বলেছেন স্বাস্থ্য সচিব।
করোনা পরিস্থিতির মোকাবেলা নিয়ে রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গুলির সঙ্গে শুক্রবার কয়েক ঘণ্টা ধরে চলে এই বৈঠক। বৈঠক শেষে তিনি জানান, ' বর্তমান পরিস্থিতিতে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব হল সমস্ত অক্সিজেন সরঞ্জাম নিশ্চিত করা। যাতে যে কোনও জরুরি পরিস্থিতি তৈরি হলে তার মোকাবেলা সম্ভব হয়। কোনও ভাবে যাতে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা না দেয়। '
জানা যাচ্ছে, বৈঠকে তিনি রাজ্যগুলিকে এর জন্য প্রয়োজনে ইমার্জেন্সি কোভিড রেসপন্স প্যাকেজ-২ (ইসিআরপি - ২) তহবিলের সম্পূর্ণ ব্যবহার করতে বলেছেন। প্রসঙ্গত, ইসিআরপি - ২ প্রকল্পের অধীনে কোভিড পরিস্থিতির মোকাবেলার জন্য অক্সিজেন প্লান্টের ব্যবস্থা করতে এই তহবিলে রাজ্যগুলিকে অর্থ অনুদান দিয়েছিল কেন্দ্র। বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে অক্সিজেনের ঘাটতি যাতে কোনওভাবে না হয় তার জন্য এই তহবিলের অর্থ দিয়ে রাজ্যগুলিকে পিএসএ প্লান্ট তৈরি করতে বলেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব। উল্লেখ্য, এই প্ল্যান্টের মাধ্যমে রোগীদের কাছে বিশুদ্ধ অক্সিজেন পৌঁছেছে কিনা তা বোঝা সম্ভব।
এর পাশাপশি, ভেন্টিলেটরগুলি দ্রুত ইনস্টলের ওপর জোর দিয়েছেন স্বাস্থ্য সচিব। যারা এই সমস্ত ভেন্টিলেটর অপারেটর করবেন তাদের প্রশিক্ষণের উপরও জোর দিয়েছেন রাজেশ ভূষণ। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই এ নিয়ে প্রশিক্ষণ শুরু হয়ে গিয়েছে। ১৮০ ঘন্টার প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে সারা দেশজুড়ে ৪৬৯০ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।