বাংলাদেশে অশান্তি শুরু হতেই ভারতে চলে আসার ছক করেন নাগরিকরা। ওপার বাংলা থেকে এপার বাংলায় কাঁটাতার পেরিয়ে আসতেও চেষ্টা করেন বহু পদ্মাপারের নাগরিক। এই সমস্যার মধ্যে পড়ে একশ্রেণির অসাধু ব্যক্তিরা জাল পাসপোর্ট তৈরি করতে শুরু করে। যার মাধ্যমে বাংলায় তথা ভারতে আসা যাবে। শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছাড়ার পর থেকেই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়। বহু জাল পাসপোর্ট–সহ বাংলাদেশি নাগরিকরা ধরা পড়ে এপার বাংলায়। ভারতের অন্যান্য রাজ্যেও জাল পাসপোর্ট নিয়ে ধরা পড়েন অনেকে। এই আবহে এবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া একাধিক পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্র খোলার কথা ঘোষণা করলেন।
এদিকে এই পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্র কোথায় কোথায় খোলা হবে তা জানতে উদগ্রীব দেশের মানুষজন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এই বিষয়ে জানান, গোটা দেশে প্রত্যেকটি লোকসভা কেন্দ্রে খোলা হবে। অর্থাৎ ৫৪৩টি লোকসভা কেন্দ্রের পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্র খোলা হবে। এই কথা তিনি জানান মধ্যপ্রদেশের গুনা লোকসভা কেন্দ্রে পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্র খোলার পর। এই লোকসভা কেন্দ্র থেকেই প্রত্যেকবার লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। এখানেই আরও ৬টি পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্র এই বছরে খোলা হবে বলে মন্ত্রী জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: গঙ্গাসাগর মেলায় আসা পুণ্যার্থীদের সর্বস্ব খোয়া যাচ্ছিল, ‘লুঠপাট গ্যাং’কে গ্রেফতার করল আরপিএফ
অন্যদিকে একটি প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। প্রত্যেক লোকসভা কেন্দ্রে পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্র খোলার কারণ কী? জানা গিয়েছে, পাসপোর্ট জালিয়াতি যাতে না করা যায় তার জন্যই এই সেবা কেন্দ্র খোলার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। যাতে খোঁজ করলেই বোঝা যায় দ্রুত যে, কোন পাসপোর্ট আসল এবং কোনটি নকল। তবে মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রত্যেক লোকসভা কেন্দ্রে একটি করে পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্র খুলবেন। যাতে এই পরিষেবা আরও বেশি করে ছড়িয়ে দেওয়া যায়। বিদেশ মন্ত্রকের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এই কাজ করা হবে।’
এছাড়া সারা দেশে ৬ হাজার পোস্ট অফিস খোলা হবে। সেখানে নানা প্রযুক্তি নিয়ে এসে পরিষেবা দেওয়া হবে। লোকসভা কেন্দ্র গুনার মানুষজনকে পাসপোর্ট বানাতে গেলে যেতে হয় ভোপাল এবং গোয়ালিয়রে। সেখানে এই পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্র গড়ে উঠলে আর এখানকার মানুষজনকে এত কষ্ট করতে হবে না বলে জানান মন্ত্রী। জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার কথায়, ‘আমরা চেষ্টা করছি হাতে লেখা চিঠি ফিরিয়ে আনতে। এটার মাধ্যমে মনের ভাব প্রকাশ করা যায়। সত্যিকারের অনুভূতি প্রকাশিত হয়।’