আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়কে সংখ্যালঘু তকমা দেওয়া হবে কিনা সে বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারেনি প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ। আগামী ১১ নভেম্বর নতুন প্রধান বিচারপতি হচ্ছেন সঞ্জীব খান্না। ফলে এই মামলার শুনানি হবে নতুন বেঞ্চে। আর নতুন বেঞ্চে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যালঘু তকমা সংক্রান্ত মামলাটি উঠলেই দৃঢ়ভাবে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরবে কেন্দ্র সরকার। এমনটাই জানিয়েছেন বিজেপির মুখপাত্র গৌরব ভাটিয়া।
আরও পড়ুন: AMU নিয়ে ‘সুপ্রিম’ রায় আসতেই অধ্যাপক থেকে রাজনৈতিক নেতা.. কে কী বললেন?
সংবাদ মাধ্যমকে তিনি জানান, মামলাতে কেন্দ্রীয় সরকার দৃঢ়ভাবে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরবে। এই মামলায় প্রয়োজনী অনুসারে সংবিধানের বিভিন্ন ধারা ব্যাখ্যা করা হবে। তিনি জানান, বিজেপি এমন একটি দল যা সংবিধানে বিশ্বাস করে।
প্রসঙ্গত, ১৯৬৭ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টির সংখ্যালঘু তকমা খারিজ করে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। এরপর ১৯৮১ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর আমলে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন সংশোধন করে এই প্রতিষ্ঠানে সংখ্যালঘুদের জন্য বিশেষ সংরক্ষণ চালু করা হয়। তবে সেই সংরক্ষণ সংক্রান্ত আইন ২০০৬ সালে এলাহাবাদ হাইকোর্ট খারিজ করে দেয়। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের ৭ সদস্যের বেঞ্চে প্রধান বিচারপতি-সহ চার বিচারপতি এলাহাবাদ হাইকোর্টের আগের সেই খারিজ করেছেন। যদিও আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠানের তকমা পাচ্ছে কি না সে বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে এই রায়ের ফলে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যালঘু তকমা পাওয়ার পথ প্রশস্ত হয়েছে। পরবর্তী প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চ এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।
এদিন এই রায়ের পরেই বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য ১৯৭২ সালে সংসদে বিতর্ক চলাকালীন আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়কে সংখ্যালঘু তকমা দেওয়ার বিরোধিতা করা কিছু রাজনৈতিক নেতার মন্তব্য করেছেন এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘আমার দাবি হল যে আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয় সংখ্যালঘুদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়নি। এটি মুসলিম সম্প্রদায়ের দ্বারাও পরিচালিত হচ্ছে না। সেই অর্থে এটি সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠান নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন আইনের উপর নির্ভর করে। ব্রিটিশ আমলে এটি এই আইনের উপর নির্ভরশীল ছিল। স্বাধীনতার পরে এটি সংসদ দ্বারা সংশোধন করা আইনের উপর নির্ভরশীল।’