করোনার সংক্রমণ থেকে বাঁচতে এবার ধূমপান থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিল কেন্দ্রীয় সরকার। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের তরফে টুইট করে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ধূমপানের নেতিবাচক প্রভাবের কথা তুলে ধরা হয়েছে। সম্প্রতি সারা দেশে করোনা সংক্রমণ ক্রমশই বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সরকারের এই সতর্কতা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
কেন্দ্রের তরফে গ্রাফিক্সের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে, কীভাবে ধূমপান করলে ফুসফুসের কার্যকারিতা কমে আসে ও অসুখ বাসা বাঁধতে শুরু করে। পাশাপাশি ধূমপান যাঁরা করেন, তাঁদের মাধ্যমে কীভাবে করোনা সংক্রমিত হতে পারে, সে বিষয়টিকেও তুলে ধরা হয়েছে।
এর আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফেও জানানো হয়েছিল, ধূমপান যাঁরা করেন, তাঁদের মাধ্যমে করোনা বেশি করে ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে। একাধিক বিশেষজ্ঞরাও এই একই মত পোষণ করেছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে ধূমপান বন্ধ করারও পরামর্শ দেওয়া হয়।শুধু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাই নয়, গত বছর কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফেও করোনা সংক্রমণের ক্ষেত্রে ধূমপানের নেতিবাচক প্রভাবের কথা জানানো হয়। গত জানুয়ারিতে লন্ডনের কিংস কলেজের তরফে একটি সমীক্ষা চালানো হয়। সেই সমীক্ষার রিপোর্টে দেখানো হয়, ধূমপান যাঁরা করেন, তাঁদের মধ্যে ১৪ শতাংশেরও বেশি রয়েছেন, যাঁদের মধ্যে শ্বাসকষ্ট, জ্বরের মতো উপসর্গ বেশি দেখা যায়। তখনই চিকিৎসকরা তাঁদের করোনা পরীক্ষা করার পরামর্শ দেন। সমীক্ষায় এও উঠে এসেছে, অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে, যাদের জ্বর, শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গ দেখা দিয়েছে, তাঁদের গন্ধ না পাওয়া, পেশিতে ব্যথা হওয়ার মতো আরও অনেক উপসর্গও দেখা দিয়েছে, যা করোনার উপসর্গ হিসেবে পরিচিত।
সর্গ হিসাবে পরিচিত।