সকল অত্যাবশ্যক পণ্যের দামের উপর নজর রাখতে রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দিল কেন্দ্রীয় সরকার। লকডাউন শঙ্কা বাড়তেই নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর দামের উপর নজরদারি কেন্দ্রের। তাছাড়া খাদ্য সামগ্রীর দামের উপর বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন রাজ্যে করোনা রুখতে লকডাউন জারি করা হচ্ছে। এই আবহে নিত্য প্রয়োজনীয় সাগমগ্রীর সরবরাহ যাতে থমকে না যায়, তার উপর নজর দেওয়ার জন্য প্রতিটি রাজ্যের মুখ্য সচিবকে নির্দেশ দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় উপভোক্তা মন্ত্রকের তরফে।
সিভিল সাপ্লাই বিভাগ, স্থানীয় পুলিশ এবং খাদ্য সুরক্ষা বিভাগকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিটি রাজ্যকে দল গড়ার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। যাতে সমন্বয়ের মাধ্যমে সবাই কাজ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। উল্লেখ্য, গত মার্চ মাসে খুচরো বাজারে মূল্যবৃদ্ধির হার ৫.৫২ শতাংশ ছিল। করোনা আবহে এই পরিস্থিতি যাতে হাতের বাইরে না চলে যায়, তার উর বিশেষ নজর রাখছে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক।
এদিকে করোনার বাড়বাড়ন্তের মাঝে করোনা টিকার ঘটতি দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে টিকাকরণ সব প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য উন্মুক্ত করার ঘোষণা করা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। এই আবহে আজ সন্ধ্যা ৬টায় করোনার ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলির সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এ নিয়ে তৃতীয়বার সংস্থাগুলির সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী। গতকাল চিকিৎসক এবং ফার্মা কোম্পানিগুলির সঙ্গে বৈঠকের পর আজ ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলির সঙ্গে এই বৈঠক করবেন তিনি।
প্রসঙ্গত, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের জেরে গত এক সপ্তাহে ২ লক্ষের বেশি দৈনিক সংক্রমণ হচ্ছে ভারতে। এমনকি মৃত্যুর হারও কয়েকশো শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। ফলে এই ভয়াবহ পরিস্থিতিকে সামাল দিতে তৎপর হয়েছে কেন্দ্র। সংক্রমণের এই চেন ভাঙতে গতকাল ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সীদের করোনার ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। সেই মতো খোলা বাজারে ৫০ শতাংশ ভ্যাকসিন ছাড়ার অনুমতিও দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। মনে করা হচ্ছ, ভ্য়াকসিনের সরবরাহ এবং বণ্টন নিয়ে এই বৈঠকে আলোচনা হতে পারে।