কেন্দ্রের প্রস্তাবিত ৪০টি বিল ও ৫টি অর্ডিন্যান্স এখনও বিচারাধীন রয়েছে সংসদে। আসন্ন বাদল অধিবেশনে সেই বকেয়া বিলগুলো নিয়েই নরেন্দ্র মোদী সরকারের ব্যস্ততা তুঙ্গে উঠতে চলেছে।
এছাড়াও গত অধিবেশনে পাঁচটি অর্ডিন্যান্স জারি করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। তার মধ্যে হল, হোমিওপ্যাথি কেন্দ্রীয় কাউন্সিল(সংশোধনী), ভারতীয় মেডিসিন সেন্ট্রাল কাউন্সিল(সংশোধন), জাতীয় রাজধানী অঞ্চল ও প্রশাসনিক অঞ্চলগুলোর বায়ু গুণমান পরিচালনার কমিশন ও ট্রাইব্যুনাল সংস্কার অর্ডিন্যান্সগুলো বর্তমানে লাগু রয়েছে দেশে।
সংবিধানে উল্লেখ রয়েছে যে, সংসদ অধিবেশনে জারি হওয়া অর্ডিন্যান্সগুলো সর্বোচ্চ ৬ মাস বৈধ থাকবে। সেকারণে আসন্ন অধিবেশনে এই অর্ডিন্যান্সগুলো অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে গৃহীত হবে বলে জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার কারণে নির্ধারিত সময়ের আগেই গুটিয়ে গিয়েছিল বাজেট অধিবেশন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সংসদের এক প্রবীণ আধিকারিক বলেন, ‘ আমরা করোনার সম্ভাব্য তৃতীয় ঢেউযের কথা মাথায় রেখেই বাদল অধিবেশনের জন্য উপযুক্ত সম খুঁজতে চাইছি।’
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের মার্চ থেকে করোনা মহামারীর জন্য সংসদের অধিবেশনগুলো প্রভাবিত হয়েছে।এমনকী, জনস্বাস্থ্য সঙ্কটের জন্য ওই বছরের শীতকালীন অধিবেশন বাতিল করতে হয়েছিল।শুধু তাই নয়, সংসদের শেষ তিনটি অধিবেশনও মাঝপথে শেষ করে দেওয়া হয়।