পঁয়তাল্লিশ বছর বা উর্ধ্বে সব কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের করোনাভাইরাস টিকা নেওয়ার পরামর্শ দিল কেন্দ্রীয় সরকার। বৃৃহস্পতিবার কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়, বর্তমান পরিস্থিতির বিবেচনা করে করোনার সংক্রমণ রুখতে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এমনিতেই দেশে করোনার সংক্রমণের হার আবারও উর্ধ্বমুখী হয়েছে। সোমবার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা প্রথমবার এক লাখের গণ্ডি ছাড়িয়ে গিয়েছে। মঙ্গলবার সেই সংখ্যাটা কিছুটা কমলেও তাতে বিন্দুমাত্র উদ্বেগ কমেনি। তারইমধ্যে কেন্দ্রের মধ্যে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘৪৫ বছর বা উর্ধ্বে কেন্দ্রীয় সরকারের সমস্ত কর্মচারীদের করোনা টিকা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে, যাতে কার্যকরীভাবে কোভিড-১৯-এর সংক্রমণ রোখা যাবে।’
তারইমধ্যে মঙ্গলবার কেন্দ্র জানিয়েছে, কী কারণে দেশের সকল মানুষকে টিকা প্রদান করা হচ্ছে না। মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ বলেন, ‘অনেকেই জিজ্ঞাসা করছেন যে কেন আমরা সকলের জন্য টিকাকরণ প্রক্রিয়া শুরু করিনি। এরকম টিকাকরণ প্রক্রিয়ায় দুটি লক্ষ্য থাকে - মৃত্যু আটকানো এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে রক্ষা করা। যাঁরা চান, তাঁদের টিকা প্রদান করা লক্ষ্য নয়। বরং যাঁদের দরকার, তাঁদের টিকা প্রদান করা হল লক্ষ্য।’
এমনিতে গত ১৬ জানুয়ারি থেকে ভারতে টিকাকরণ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে স্বাস্থ্যকর্মী, সাফাইকর্মী, চিকিৎসা-সহ প্রথমসারির করোনা যোদ্ধাদের টিকা প্রদান করা হয়েছে। পরে আরও বাড়ানো হয় টিকাকরণের পরিসর। ষাটোর্ধ্ব মানুষেরও টিকা প্রদান করা হতে থাকে। ধাপে ধাপে আপাতত ৪৫ বছর এবং তার উর্ধ্বে সকল মানুষকে টিকা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তবে বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, পড়ুয়া, যুবক-যুবতিদের কেন করোনা টিকা দেওয়া হচ্ছে না? বিশেষত করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও তাঁদের বাড়ির বাইরে যেতে হচ্ছে। তাহলে তাঁদের তো সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা আরও বাড়বে।
যদিও মঙ্গলবার কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, মহামারীর ইতিহাস লেখার সময় সর্বপ্রথম মৃতের সংখ্যা লেখা হয়। সেই পরিস্থিতিতে দেশে করোনায় প্রাণহানির সংখ্যা বেঁধে রাখার লক্ষ্য নিয়েছে। সেইমতো সুচিন্তিতভাবে করোনা টিকা প্রদান করা হচ্ছে বলে দাবি করেছে কেন্দ্র।