করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিম্নমুখী হওয়ায় বিধিনিষেধ শিথিল করছে বিভিন্ন রাজ্য। সেই রাশ আলগা দেওয়ার সময় যাতে আবারও করোনার দাপট বেড়ে না যায়, সেজন্য রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে পাঁচটি ‘অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ’ টিপস দিল কেন্দ্র। সংক্রমণ রুখতে করোনা বিধি পালন; নমুনা পরীক্ষা, চিহ্নিতকরণ, চিকিৎসার (টেস্ট, ট্র্যাক, ট্রিট) এবং টিকাকরণের উপর জোর দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হল।
শনিবার সব রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে লেখা চিঠিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভাল্লা বলেছেন, 'সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা হ্রাস পাওয়ায় অনেক রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল বিধিনিষেধ শিথিল করছে। আমি বলতে চাই যে তৃণমূলস্তরে পরিস্থিতির পর্যালোচনার ভিত্তিতে বিধিনিষেধ কার্যকর করা বা শিথিল করার সিদ্ধান্ত নিতে হবে।' সংক্রমণের গ্রাফ নিম্নমুখী হওয়ার পর রাজ্যগুলিকে খুব ভালোভাবে বিধিনিষেধ শিথিলের প্রক্রিয়া কার্যকর করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
ভাল্লা জানিয়েছেন, কয়েকটি রাজ্যে দেখা গিয়েছে যে বিধিনিষেধ শিথিল করলেই বিভিন্ন জায়গায় ভিড় হচ্ছে। বাজারে জমায়েত হচ্ছে অনেক মানুষের। মানা হচ্ছে না করোনা বিধি। সেই আত্মতুষ্টি আবারও বিপদ ডেকে আনতে পারে বলে সতর্ক করেছেন তিনি। চিঠিতে জানিয়েছেন, সংক্রমণ কমলেও করোনা বিধি পালন করতেই হবে। পরতে হবে মাস্ক। ব্যবহার করতে স্যানিটাইজার। পালন করতে সামাজিক দূরত্বের বিধি। দীর্ঘকালীন ভিত্তিতে সংক্রমণের গ্রাফ নিম্নমুখী রাখার জন্য নমুনা পরীক্ষা, চিহ্নিতকরণ, চিকিৎসার (টেস্ট, ট্র্যাক, ট্রিট) উপর জোর দিতে হবে। কোনওভাবে যাতে নমুনা পরীক্ষার হার কমে না যায়, তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন। স্থানীয়ভাবে কোথাও করোনার সংক্রমণ বাড়ছে কিনা, তার উপর কড়া নজর রাখতে বলেছেন। প্রয়োজনে স্থানীয় স্তরে ‘কনটেনমেন্ট জোনের’ কার্যকরের পরামর্শও দিয়েছেন ভাল্লা।
সেইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে করোনার সংক্রমণের শৃঙ্খল ভাঙার জন্য টিকাকরণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই সব রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে দ্রুত গতিতে বেশিরভাগ মানুষকে টিকা প্রদান করতে হবে। তাহলে করোনার মোকাবিলা করা যাবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব।