সুপ্রিম কোর্টে এক পিটিশনের সাপেক্ষে জবাবে ফের একবার জম্মু ও কাশ্মীরের নির্বাচনী আসনের পূর্নবিন্যাস ইস্যুতে ডিলিমিটেশন কমিশনের সপক্ষে বার্তা দিল কেন্দ্র। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র জানিয়েছে, '২০১৯ জে অ্যান্ড কে রিঅর্গানাজেশন অ্যাক্ট' এর সাপেক্ষে কমিশন এই কাজে এগিয়ে যেতে পারে।
উল্লেখ্য, ডিলিমিটেশন কমিশনের গঠন নিয়ে প্রশ্ন তুলে একটি পিটিশন দায়ের করা হয়েছে। সেই পিটিশনের বিরোধিতা করে, কেন্দ্রের তরফে সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা জানিয়েছেন, ২০১৯ সালের আইন অনুযায়ী আইনত এক কমিশনের প্রতিষ্ঠাকে বর্জন করা যাবে না। কেন্দ্রের তরফে এই বার্তার পর আপাতত আদালত নিজের রায়কে সংরক্ষিত রেখেছে। উল্লেখ্য, এই মামলায় যে পিটিশনাররা ছিলেন সেই হাজি আবদুল গানি খান ও আয়ুব মাট্টুদের দাবি ছিল যে, জম্মু ও কাশ্মীরের নির্বাচনি কেন্দ্র পূর্নবিন্যাসে একমাত্র সক্ষম নির্বাচন কমিশন। এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে ২০১৯ সালের জে অ্যান্ড কে রিঅর্গানাজেশন অ্যাক্ট' অনুযায়ী ৬১ ও ৬২ ধারাকে তুলে ধরেন তুষার মেহতা। যেখানে এই কমিশন গঠনকে বর্জন করা যাবে না বলে আইনত সিদ্ধ রয়েছে। এই পুর্নবিন্যাস ইস্যুতে কেন্দ্র জানিয়েছে, নির্বাচনি কেন্দ্রগুলির সীমাবদ্ধতা করার ক্ষমতা রয়েছে নির্বাচন কমিশনের। তবে পুর্নবিন্যাস করার দিকটি কমিশন এগিয়ে নিয়ে যাবে।
এছাড়াও প্রশ্ন উঠছে কোন আদমসুমারি অনুযায়ী এই পুর্নবিন্যাস এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে তা নিয়ে। সেক্ষেত্রে পিটিশনার বলছে, ২০১১ সালের নিরিখে না করে ২০০১ সালের আদমসুমারির নিরিখে তা করা হোক অথবা ২০২৬ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করা হোক। এদিকে, তুষার মেহতা জানান, কেন্দ্র চাইছে যতটা সম্ভব তাড়াতাড়ি এই নবনির্মিত কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলকে গণতন্ত্র দিতে। এই কারণে ২০২৬ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা বা ২০০১ সালের নিরিখে পুর্নবিন্যাস করার ঘটনা কোনও মতেই বুদ্ধিদীপ্ত পদক্ষেপ হবে না। কেন্দ্র এই নিরিখে শীর্ষ আদালতকে এই আবেদন খারিজ করার বিষয়ে আর্জি জানায়।