দেশে ৮ রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে রীতিমতো উদ্বিগ্ন কেন্দ্রীয় সরকার। এই সব রাজ্যকে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। সংশ্লিষ্ট রাজ্য পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কী ব্যবস্থা নিল, তাও কেন্দ্রকে জানাতে বলা হয়েছে। সেই তালিকায় আছে বাংলার প্রতিবেশী একাধিক রাজ্যও।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, যে সব রাজ্যে সংক্রমণের মাত্রা সববেশি বেশি সেগুলি হল অরুণাচল প্রদেশ, মণিপুর, কেরালা, অসম, মেঘালয়, ত্রিপুরা, ওড়িশা ও সিকিম। এই সব রাজ্যের বেশিরভাগ জেলাতেই করোনার সংক্রমণের হার ১০ শতাংশের বেশি। সম্প্রতি কেন্দ্রীয স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ এই ৮ রাজ্যকে চিঠি লেখেন। চিঠি লিখে এই সব রাজ্যকে করোনা নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। মুখ্যসচিবদের লেখা চিঠিতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব জানিয়েছেন, ‘যদিও দেশে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা কমছে, তবু ও রাজ্যের সাপ্তাহিক সংক্রমণের হার খতিয়ে দেখার প্রয়োজনীয়তা আছে। পাশাপাশি সংক্রমণ ছড়াতে পারে, এমন আগাম সংকেত পাওয়ার জন্য প্রতিটি জেলায় পরিস্থিতি ঠিক কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে, সে বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া দরকার।’
এই প্রসঙ্গে অরুণাচল প্রদেশের মুখ্যসচিবকে লেখা চিঠিতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব জানান, অরুণাচল প্রদেশে ২৫টি জেলার মধ্যে ১৯টি জেলায় ১০ শতাংশের ওপর সংক্রমণের মাত্রা রয়েছে। রাজ্যের তরফে যে তথ্য পেশ করা হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে ২৮ জুন থেকে ৪ জুলাই পর্যন্ত রাজ্যে সংক্রমণের হার ছিল ১৬.২ শতাংশ। গত ৪ সপ্তাহে এই রাজ্যে সংক্রমণের মাত্রা বেড়েছে। কেন্দ্রের তরফে ৮ রাজ্যকে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, এই সব রাজ্যে করোনা পরীক্ষার মাত্রা যেন বাড়ানো হয় ও ভ্যাকসিন দেওয়ার মাত্রাটাকেও যেন বাড়ানো হয়। কেন্দ্রের তরফে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, করোনা সংক্রমণের মাত্রা কমাতে হলে কনটেনমেন্ট জোন করা উপযুক্ত উপায় হবে। ইতিমধ্যে কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভাল্লাও করোনা সংক্রমণের মাত্রা কমাতে ৫টি রণনীতি নিয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছেন। সেই ৫টি রণনীতি হল টেস্ট–ট্র্যাক–ট্রিট–ভ্যাকসিন দেওয়া ও স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলা।
থ্য বিধি মেনে চলা।