টিকার ‘কম জোগান’ নিয়ে এবার তরজায় জড়াল কেন্দ্র এবং মহারাষ্ট্র সরকার। মহারাষ্ট্র, দিল্লি, পঞ্জাব-সহ একাধিক রাজ্যের দাবি, হাতে বেশি টিকা নেই। দিনকয়েকের মধ্যে টিকার সঞ্চয় ফুরিয়ে যাবে। যদিও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধনের দাবি, টিকাকরণের ক্ষেত্রে নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতেই পুরো বিষয়টিতে রাজনৈতিক রং লাগাচ্ছে।
বুধবার মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেশ তোপে জানান, রাজ্যে আর ১৪ লাখ ডোজ করোনা টিকা পড়ে আছে। যা মাত্র তিনদিন টিকবে। সেইসঙ্গে রাজ্যে আরও করোনা টিকা পাঠানোর আর্জি জানান। যে রাজ্যে হুড়মুড়িয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। পরিস্থিতি এতটাই সঙ্গীন যে দৈনিক আক্রান্তের নিরিখে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রাজ্যের তুলনায় মহারাষ্ট্রে রোজ ১০ গুণ বেশি সংক্রমিতের হদিশ মিলছে। উত্তরাখণ্ড, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ এবং রাজস্থানের আধিকারিকরাও টিকার ‘কম জোগান’ নিয়ে মুখ খুলেছেন।
সেই মন্তব্যের আগে গত সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখে ২৫ বছরের উর্ধ্বে সকলকে করোনা টিকা দেওয়ার আবেদন জানান। ৪৫ বছরের বয়সসীমা তুলে দেওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং। যে পদক্ষেপ এখনই নিতে চাইছে না কেন্দ্র। দিনকয়েক কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ স্পষ্ট করে দিয়েছেন, আপাতত মৃতের সংখ্যা কম করার বিষয়টির উপর বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে। আর যাঁদের প্রয়োজন, তাঁদের টিকা দেওয়া হবে। যাঁরা চান, তাঁদের টিকা দেওয়া হবে না।
তারইমধ্যে টিকার ‘কম জোগান’-এর অভিযোগ উড়িয়ে দেন হর্ষবর্ধন। তিনি পালটা দাবি করেন, নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকার জন্য নজর ঘোরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। সেইসঙ্গে বয়সসীমা বাড়ানোর যে আর্জি জানানো হয়েছে, তা নিয়েও তোপ দাগেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী। মহারাষ্ট্র, দিল্লি, পঞ্জাবকে নিশানা করে একটি বিবৃতি জারি করেন তিনি বলেন, ‘লাগাতার গোলপোস্টের অবস্থান পালটে এই রাজ্যগুলি নিজেদের বাজে টিকাকরণ প্রক্রিয়া থেকে নজর ঘোরাতে চাইছে না?' এরকম জনস্বাস্থ্য বিষয়ের ‘রাজনীতিকরণ’ নিয়েও তোপ দাগেন তিনি।