গরমকাল-এ প্রচণ্ড তাপ লেগে অসুস্থতাজনিত রোগের দিকে যাতে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি নজর রাখে, সেই বার্তা দেওয়া হল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সচিব রাজেশ ভূষণের তরফে এই মর্মে চিঠি গিয়েছে বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্যসচিব ও প্রশাসকদের প্রতি।
প্রসঙ্গত, সদ্য আইএমডি জানিয়েছে, দিল্লিতে চলতি ফেব্রুয়ারি মাসে গত ৫৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি গরম ছিল। এরপর আইএমডি জানাচ্ছে, মার্চেও গরমের থেকে রেহাই নেই। কারণ মার্চ মাসে দিল্লির তাপমাত্রা অন্যান্য বারের তুলনায় আরও বাড়তে পারে। এদিকে, বাংলাজুড়েও আবহাওয়ার তেজ বাড়তে শুরু করবে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। আপাতত ৪৮ ঘণ্টায় আবহাওয়ার সেভাবে কোনও পরিবর্তন হবে না। তবে বৃহস্পতিবার থেকে গরম আরও বেশি অনুভূত হবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। সোমবার কলকাতা ও তার সংলগ্ন এলাকার তাপমাত্রা ছিল ৩১.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি বেশি। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২২.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি বেশি। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতা ৯৬ শতাংশ ছিল বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে, এমন গরমের পরিস্থিতি যে মার্চে আরও দাপট দেখাতে শুরু করবে তা বলাই বাহুল্য। এই অবস্থায় সমস্ত রাজ্যে তাপ ও তাপপ্রবাহ সংক্রান্ত অসুস্থতার ঘটনা যাতে না ঘটে, বা রোখা যায়, তার জন্য এই ঘটনাগুলির দিকে নজর কড়া রাখার বার্তা দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। প্রবল তাপপ্রবাহের জেরে, গ্রীষ্মকালীন নানা রোগ সমস্যা দেখা যায়। তাপপ্রবাহের ফলে হিট স্ট্রোক, হিট জনিত ক্লান্তি, হিট ক্র্যাম্পের মতো সমস্যা হতে থাকে। এক্ষেত্রে শরীরে জ্বর, মাথা যন্ত্রণা, মাথা ঘোরা, বিভ্রান্তি, জ্ঞান হারানোর মতো ঘটনা ঘটে। এছাড়াও হিট থেকে ক্লান্তি জনিত নানান ধরনের সমস্যা মারাত্মক আকার নেয়। এক্ষেত্রে বমিভাব দুর্বল লাগার মতো সমস্যা দেখা যায়। এছাড়াও শরীরে হিট ক্র্যাম্প, পেশীতে ব্যথার মতো সমস্যা দানবীয় আকার নেয়। এই সমস্ত রোগ জ্বালা থেকে যাতে সাধারণ মানুষ দূরে থাকে, বা তাপপ্রবাহকে কেন্দ্র করে কোনও রোগ শরীরে বাসা বাঁধলে তার ঘটনা রাজ্যে কটা ঘটছে, সেদিকে নজর রাখার কথা বলা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup