দীক্ষা ভরদ্বাজ
সোশ্যাল মিডিয়ায় করোনাভাইরাস সংক্রান্ত পোস্ট নিয়ে এবার পদক্ষেপ গ্রহণ করল। টুইটার, ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রাম থেকে ১০০-এর বেশি করোনা সংক্রান্ত ‘উস্কানিমূলক’ পোস্ট এবং অ্যাকাউন্ট সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ জারি করা হল। সেই তালিকায় আছে তৃণমূল কংগ্রেসের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচারমূলক পেজ ‘বাংলার গর্ব মমতা’-র ফেসবুক পেজও। বিষয়টির সঙ্গে অবহিত আধিকারিকরা একথা জানিয়েছেন।
নাম গোপন রাখার শর্তে এক কেন্দ্রীয় সরকারি আধিকারিক বলেন, ‘যে করোনা সংক্রান্ত পোস্টে সৎকারের ছবি দেখানো হয়েছে, যা হিংসাত্মক এবং উস্কানিমূলক বার্তা দিচ্ছে। যা জনগণকে প্ররোচনা দিতে পারে এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের উপর হামলার কারণ হয়ে উঠতে পারে, তা ব্লক করে দেওয়া হয়েছে।’
'হিন্দুস্তান টাইমস' জানতে পেরেছে, ‘বাংলার গর্ব মমতা’-র ফেসবুক পেজও সেই তালিকায় আছে। যা ভেরিফায়েড পেজ তো বটেই। সঙ্গে ২৭ লাখ ফলোয়ার্স আছে। রবিবার সকাল (১০ টা ১৫ মিনিট) পর্যন্ত সেই পেজে ঢুকতে পেরেছে ‘হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা’। আর টুইটার অ্যাকাউন্টও খুলছে। ফেসবুকের তরফে পেজের অ্যাডমিনকে কোনও নোটিশ দেওয়া হয়েছে কিনা, সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৬৯ (এ) ধারায় ব্লক করে দেওয়ার নির্দেশ জারি করেছে কেন্দ্র। শনিবার থেকে সেই পুরো নির্দেশ কার্যকর হয়েছে। এক আধিকারিক বলেন, ‘ব্লক করে দেওয়ার নির্দেশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী হ্যান্ডেলও আছে।’ সঙ্গে তিনি বলেন, ‘ভুয়ো তথ্যের জন্য সেই নির্দেশ জারি করা হয়েছে।’
‘বাংলার গর্ব মমতা’-র ফেসবুক পেজের পাশাপাশি টুইটারে কংগ্রেসের সাংসদ রেভন্ত রেড্ডি, তৃণমূলের নেতা তথা বিদায়ী মন্ত্রী মলয় ঘটক, দুই সিনেমা নির্মাতা বিনোদ কাপরি ও অবিনাশ দাস এবং 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থক'-দের অ্যাকাউন্টও আছে। সেইসব অ্যাকাউন্টের যে পোস্টগুলি নিয়ে আপত্তি তুলেছিল কেন্দ্র, তা ব্লক করে দিয়েছে টুইটার ইন্ডিয়া। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ৫২ টি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে টুইটারকে। তবে বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি ফেসবুক।
কেন্দ্রের সেই পদক্ষেপের কড়া সমালোচনা করেছেন তৃণমূলের সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়ান। তিনি বলেন, ‘মো-শাহ হলেন স্বৈরাচারী। আমরা দীর্ঘদিন ধরেই সেটা বলে আসছি। পরাজিতরা সমালোচনা সহ্য করতে পারেন না।’ সেইসঙ্গে তিনি কটাক্ষ করেছেন, ‘টুইটার অ্যাকাউন্ট ব্লক করে দেওয়ায় আমরা কেন ক্ষুব্ধ হচ্ছি! ওঁরা তো শ্বাসকষ্টে ভুগতে থাকা নাগরিকদের অক্সিজেন বন্ধ করে দিচ্ছেন।’