আইন মোতাবেক রাজ্যের আওতায় পড়ে। এবারও সমান্তরালভাবে জন্ম ও মৃত্যুর নথিভুক্তিকরণ সংক্রান্ত তথ্যভাণ্ডার বজায় রাখার ক্ষেত্রে একধাপ এগিয়ে গেল কেন্দ্র। সেজন্য ইতিমধ্যে ১৯৬৯ সালের রেজিস্ট্রেশন অব বার্থ অ্যান্ড ডেথ অ্যাক্টে (জন্ম ও মৃত্যুর নথিভুক্তিকরণ আইন) সংশোধনী খসড়া তৈরি করে ফেলেছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। সংশ্লিষ্ট মহলের প্রশ্ন, সেই সংশোধনীর মাধ্যমে কি জাতীয় জনসংখ্যা পঞ্জির (এনপিআর) পথ প্রশস্ত করছে কেন্দ্র?
সংসদে একটি প্রশ্নের লিখিত জবাবে মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই জানান, মতামত প্রদানের জন্য গত ১৮ অক্টোবর থেকে ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত জন্ম ও মৃত্যুর নথিভুক্তিকরণ আইনের সংশোধনীর খসড়া জনসমক্ষে ছিল। সংশোধনীর যে খসড়া তৈরি হয়েছে, তাতে জন্ম ও মৃত্যুর নথিভুক্ত নথিভুক্তিকরণের জন্য রাজ্যস্তরে সামগ্রিকভাবে তথ্যভাণ্ডার বজায় রাখার প্রস্তাব আছে। সেইসঙ্গে জাতীয় স্তরে তথ্যভাণ্ডার একত্রীকরণের জন্যও সামগ্রিক তথ্যভাণ্ডার গড়ে তোলার প্রস্তাবও আছে সংশোধনী আইনের খসড়ায়।
আপাতত জন্ম এবং মৃত্যুর নথিভুক্তকরণের বিষয়টি রাজ্যের হাতে আছে। নথিভুক্তকরণের জন্য স্থানীয় রেজিস্ট্রার নিয়োগ করে রাজ্য। সামগ্রিকভাবে রাজ্যের সেই তথ্যভাণ্ডারের দায়িত্ব থাকে মুখ্য রেজিস্ট্রারের কাঁধে। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, ১৯৬৯ সালের রেজিস্ট্রেশন অব বার্থ অ্যান্ড ডেথ অ্যাক্টে (জন্ম ও মৃত্যুর নথিভুক্তিকরণ আইন) সংশোধনী এনে সেই তথ্য নিজেদের হাতে নেওয়ার পরিকল্পনা করছে কেন্দ্র। অর্থাৎ রাজ্যের হাতে এককভাবে যে ক্ষমতা ছিল, তা তো থাকবে না। বরং সমান্তরালভাবে তথ্যভাণ্ডার রাখবে কেন্দ্র। যে তথ্যভাণ্ডারের মাধ্যমে আধার কার্ড, পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্সের তথ্য আপডেট করা যেতে পারে। সেই তথ্যের মাধ্যমে সংশোধন করা যাবে ভোটার তালিকা। শুধু তাই নয়, সেই তথ্যভাণ্ডারের মাধ্যমে জাতীয় জনসংখ্যা পঞ্জির (এনপিআর) পথও প্রশস্ত হবে বলে ওই মহলের আশঙ্কা।
উল্লেখ্য, সংসদের বাদল অধিবেশনে নিত্যানন্দ জানিয়েছিলেন, ২০২১ সালের জনগণনার প্রথম পর্যায়ের সঙ্গে এনপিআর সংশোধনের কাজ (আপডেট) চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র।