জিএসটির ক্ষেত্রে প্রতারণা রুখতে বায়োমেট্রিক যাচাইয়ের পরিকল্পনা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেইসঙ্গে জিএসটির আওতায় থাকা সন্দেহজনক সংস্থাগুলির ক্ষেত্রে জিয়ো-ট্যাগিং চালু করারও ভাবনাচিন্তা চলছে। 'সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ইনডিরেক্ট ট্যাক্সস এবং কাস্টমস'-র (সিবিআইসি) প্রধান বিবেক জোহরি জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে দেশের কয়েকটি রাজ্যে পরীক্ষামূলকভাবে বায়োমেট্রিক যাচাই করা হচ্ছে। ব্যবহার করা হচ্ছে জিয়ো ট্যাগিং পদ্ধতি। সেক্ষেত্রে কী কী সুবিধা আছে, কতটা নিখুঁতভাবে কাজ করতে পারে, তৃণমূল স্তরে সেই প্রক্রিয়া কীভাবে কাজ পারে, সেই সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তারপর দেশের সব রাজ্যে সেই বায়োমেট্রিক এবং জিয়ো ট্যাগিং পদ্ধতি চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন সিবিআইসির প্রধান।
আরও পড়ুন: Mutual fund: PPF, FD-র থেকে অনেক বেশি রিটার্ন দিল এই ফ্লেক্সিক্যাপ মিউচুয়াল ফান্ডগুলি
এমনিতে ২০১৭ সালের ১ জুলাই থেকে দেশে জিএসটি চালু হয়েছে। কিন্তু সেক্ষেত্রেও প্রতারণা ঠেকানো যায়নি বলে দাবি করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, অনেকেই ভুয়ো বিল ব্যবহার করে জিএসটির ক্ষেত্রে কারচুপি করা হচ্ছে। সিবিআইসির প্রধান জানান, অন্য ব্যক্তির প্যান কার্ড এবং আধার কার্ড ব্যবহার করেও জিএসটিতে নথিভুক্তির ক্ষেত্রে প্রতারণার প্রবণতা ক্রমশ বাড়ছে। সেই পরিস্থিতিতেই বায়োমেট্রিক এবং জিয়ো ট্যাগিং পদ্ধতি চালু করার বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করা হচ্ছে।
কেন্দ্রের সূত্রে খবর, জিএসটির প্রতারণা রুখতে সম্প্রতি অভিযান চালাচ্ছে সিবিআইসি। ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে প্রায় ১২,৫০০ ভুয়ো সংস্থা চিহ্নিত করা গিয়েছে, যা ভুয়ো ‘ইনকাম ট্যাক্স ক্রেডিট’ (আইটিসি) ক্লেম করতে এবং প্রতারণা করার কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। দিল্লি, কলকাতা, হরিয়ানা, তেলাঙ্গানা, নয়ডা, অসম, মহারাষ্ট্রের মতো জায়গায় প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে।
কীভাবে বায়োমেট্রিক যাচাই করা হবে?
কেন্দ্রের পরিকল্পনা অনুযায়ী, যে সংস্থা নয়া রেজিস্ট্রেশনের জন্য আবেদন করবে, সেই সংস্থাগুলির এবং নথিভুক্ত সংস্থাগুলির প্রতিনিধি বা ডিরেক্টরদের বায়োমেট্রিক যাচাই করতে হবে। যদি ট্যাক্স অফিসারের সন্দেহ হয়, তাহলে সংশ্লিষ্ট সংস্থার প্রতিনিধিদের বায়োমেট্রিক যাচাই করার নির্দেশ দেওয়া হবে বলে পরিকল্পনা করেছে সিবিআইসি। সেইসঙ্গে যে সংস্থাগুলি জিএসটির আওতায় থাকবে, সেগুলির প্রতিটি জিয়ো ট্যাগিংয়ের পরিকল্পনাও করা হয়েছে। তার ফলে কেন্দ্রের আধিকারিকরা সংশ্লিষ্ট সংস্থার ঠিকানা যাচাই করে দেখতে পারবেন।
সিবিআইসির প্রধান বলেছেন, ‘কীভাবে আমরা জিএসটি প্রক্রিয়াকে আরও মজবুত করতে পারি, সেই চেষ্টা করছি আমরা। আগে আমরা ওটিপি-নির্ভর যাচাই পদ্ধতি ব্যবহার করছিলাম। এবার আমরা বায়োমেট্রিক যাচাইয়ের পথেও হাঁটছি। সেটার অর্থ হল যে কারও প্রতি সন্দেহ তৈরি হবে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে আধার কেন্দ্রে গিয়ে বায়োমেট্রিক যাচাই করতে হবে।’