আইন আছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও মানুষ নামিয়ে ম্যানহোল বা সেপটিক ট্যাঙ্কে কাজ করানো বন্ধ হয়নি। এই পরিস্থিতিতে আরও কঠোর আইন আনতে চলেছে কেন্দ্র। সেই নয়া আইনে কাউকে ম্যানহোল বা সেপটিক ট্যাঙ্কে নেমে কাজ করতে বাধ্য করা হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে সাত বছরের জেল হতে পারে। একইসঙ্গে জরিমানাও গুনতে হতে পারে।
সেই আইন নিয়ে আপাতত কাজ করছে কেন্দ্রীয় সামাজিক ন্যায়বিচার ও ক্ষমতায়ন মন্ত্রক। তবে আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে সংসদের অধিবেশনে তা পেশ করা হবে কিনা, সে বিষয়ে এখনও স্পষ্টভাবে কিছু জানানো হয়নি। ম্যানহোল বা সেপটিক ট্যাঙ্কে নামিয়ে কাজ করানোর ক্ষেত্রে রাশ টানতে নয়া আইনে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধানও রাখা হতে পারে।
২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে ‘প্রহিবিশন অফ এমপ্লয়মেন্ট অ্যাস ম্যানুয়াল স্ক্যাভেঞ্জারস অ্যান্ড দেয়ার রিহ্যাবিলিটেশন বিল’ পাশ হয়েছিল। যা পরবর্তীতে আইনে পরিণত হয়। সেই আইন অনুযায়ী, এই পেশায় কাউকে নিযুক্ত করলে ওই নিযুক্তকারী ব্যক্তির (অনেক ক্ষেত্রেই ঠিকাদার) পাঁচ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে। একইসঙ্গে ম্যানহোল বা সেপটিক ট্যাঙ্কে নেমে কাজ করার কাজে যুক্ত সাফাইকর্মী ও তাঁদের পরিবারের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করার বিষয়টিও আইনে বলা আছে।
তা সত্ত্বেও পশ্চিমবঙ্গ-সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অনেকেই সেই কাজ করতে বাধ্য হন। থাকে না পর্যাপ্ত সুরক্ষাও। ‘ন্যাশনাল কমিশন ফর সাফাই কর্মচারী’ জানিয়েছে, গত বছরের প্রথম ভাগেই ৫০ জন সাফাইকর্মীর মৃত্যু হয়েছিল। নর্দমার নোংরা জলে যেতে বাধ্য হওয়া সাফাইকর্মীদের কাজের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সেই কাজকে গত বছর সুপ্রিম কোর্ট ‘গ্যাস চেম্বারে মানুষ পাঠানোর’ সঙ্গে তুলনা করেছিল। এরকম কাজের জন্য সাফাইকর্মীদের অক্সিজন সিলিন্ডার, মাস্ক-সহ বিভিন্ন সুরক্ষা কবচ না দেওয়ার ক্ষেত্রে যে ঘাটতি আছে, তা নিয়েও শীর্ষ আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়েছিল কেন্দ্র।