এর আগে পাঁচ দফায় আলোচনা হয়েছে কৃষকদের সঙ্গে। ষষ্ঠ দফার বৈঠকে কিছুটা হলেও আলোচনা এগিয়েছে বলে সূত্রের খবর। তবে কোনও অবস্থাতেই কৃষি আইন কেন্দ্র বাতিল করবে না বলে এদিনও স্পষ্ট করা হয়েছে। বৈঠকের শেষে কৃষিমন্ত্রী জানান যে চারটির মধ্যে দুটি ইস্যুতে চাষীদের সঙ্গে তারা একমত হয়েছেন। আগামী বৈঠক হবে ৪ জানুয়ারি।
এদিন কেন্দ্রের পক্ষে কৃষক সংগঠনদের সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত হন কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার ও তাঁর ক্যাবিনেটের দুই সদস্য পীযূষ গোয়েল ও সোম প্রকাশ। আগের বৈঠকগুলিতে চাষীরা নিজেদের মতো খাচ্ছিলেন, মন্ত্রীরা নিজেদের মতো মধ্যাহ্নভোজন করছিলেন। কিন্তু এদিন চাষীদের আনা লঙ্গরের খাবার খান তিনমন্ত্রী। কিছুটা হলেও সেটা একটি সৌজন্যের বার্তা দেয় বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। প্রথম দফার আলোচনার পরেই একসঙ্গে মধ্যাহ্নভোজন করে দুই পক্ষ। তারপর ফের শুরু হয় কথা। বৈঠকের শেষে কৃষিমন্ত্রী জানান যে চারটির মধ্যে দুটি ইস্যুতে মিটমাট হয়েছে কেন্দ্র ও চাষীদের মধ্যে। আগামী বৈঠক হবে ৪ জানুয়ারি।
খড় পোড়ানো অর্থাৎ স্টাবল বার্নিং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ছিল। আইনের সেই ধারাটি তুলে নেবে কেন্দ্র। অন্যদিকে কৃষি কাজের জন্য ভরতুকি যাতে চলে, চাষীদের সেই প্রস্তাবও মেনে নিয়েছে মোদী সরকার। তবে এখনও ন্যূনতম সহায়ক মূল্য ও কৃষি আইন বাতিলের দাবি নিয়ে বিবাদ রয়েছে।
কেন্দ্রের প্রস্তাব যে নতুন যে তিন কৃষি আইন এসেছে, সেগুলিকে খুঁটিয়ে দেখুক একটি কমিটি। এটা অনেকাংশে সুপ্রিম কোর্ট যে প্রস্তাব দিয়েছে, সেটারই প্রতিফলন। ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিশ্চিত করতে আইন প্রণয়ন করা যায় কিনা, সেই নিয়েও একপ্রস্ত এদিন আলোচনা হয়েছে।
সরকারের তরফ থেকে এরকম আইনের সম্ভাব্য জটিলতার বিষয়টি তুলে ধরা হয়। বেসরকারি সংস্থাদের জন্য যদি ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বেধে দেওয়া হয়, তাহলে বাজারে তার নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা। তোমার বলেন যে বেসরকারি সংস্থারা চাষীদের থেকে কিনবেই না যদি দাম তাদের বেশি মনে হয়।
কৃষিক্ষেত্রে সংস্কারের জন্য তিনটি আইন সেপ্টেম্বরে পাশ করে কেন্দ্র। মোটের ওপর এতে সরাসরি বাজারে বেচতে পারবে চাষীরা, কোনও দালালকে ধরতে হবে না। তবে চাষীদের একাংশের দাবি এরফলে পুঁজিপতিরাই দাম নিয়ন্ত্রণ করবে, ন্যায্য দাম পাবে না গরীব কৃষক। এই নিয়ে এক মাসের ওপর চাষীরা দিল্লির সীমান্তে প্রতিবাদ চালাচ্ছে তারা। ইতিমধ্যে মামলা গিয়েছে সুপ্রিম কোর্টে যেখানে কমিটি গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে।