অ্যাক্সিস ব্যাঙ্কের শেয়ার বিক্রির ফলে সরকারের ঘরে এল মোট ৩,৮৩৯ কোটি টাকা। গত বুধবার এই শেয়ার বেচার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়। প্রক্রিয়ার শেষে কেন্দ্রের তরফে এমনটাই জানানো হয় ।
বিলগ্নিকরণ ও সরকারি সম্পত্তি বিভাগের সচিব তুষারকান্তি পান্ডে এদিন টুইটারে জানান, কেন্দ্রের দখলে থাকা অ্যাক্সিস ব্যাঙ্কের সমস্ত শেয়ার বেচে মোট ৩,৮৩৯ কোটি টাকা এসেছে সরকারের ঘরে।
গত সপ্তাহে SUUTI-এর মাধ্যমে কেন্দ্র অ্যাক্সিস ব্যাঙ্কের সমস্ত শেয়ার বিক্রির কথা ঘোষণা করেছিল। বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জের সূত্র অনুযায়ী, অ্যাক্সিস ব্যাঙ্কের মোট ১.৫৫ শতাংশ শেয়ার কেন্দ্রের হাতে ছিল। বুধবার এই অংশটি বিক্রির ফলে সরকারের হাতে ব্যাঙ্কের আর কোনও শেয়ারই থাকল না।
প্রসঙ্গত, এই শেয়ার বিক্রির মাধ্যমে কেন্দ্র মোট ২৮,৩৮৩ কোটি টাকার বিলগ্নিকরণ সম্পূর্ণ করল। প্রাথমিকভাবে ২০২২-২০২৩ অর্থবর্ষে সরকার বিলগ্নিকরণ করে মোট ১.৭৫ লক্ষ কোটি টাকা ঘরে তোলার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছিল। পরে তা কমিয়ে ৭৮,০০০ কোটিতে নামিয়ে আনা হয়েছিল। তবে শেষপর্যন্ত এই অর্থবর্ষে মোট ৬৫,০০০ কোটি টাকার বিলগ্নিকরণ করার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। এই বিলগ্নিকরণ প্রক্রিয়াটি বিভিন্ন সংস্থায় সরকারের অধিগৃহীত শেয়ার বিক্রির মাধ্যমে করা হবে।
SUUTI বা স্পেসিফায়েড আন্ডারটেকিং ইউনিট ট্রাস্ট অফ ইন্ডিয়া সরকারের অধীনে থাকা লগ্নিসংক্রান্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা। এটি মূলত লগ্নির বিষয়ে সরকারের বিভিন্ন সিদ্ধান্ত কার্যকর করে। ২০০৩ সালে এই ট্রাস্টটি নির্মাণ করা হয়। এর আগে পর্যন্ত ইউনিট ট্রাস্ট অফ ইন্ডিয়া সরকারের লগ্নি সংক্রান্ত বিষয়ের দেখভাল করত। সেই সময় ইউনিট ট্রাস্ট অফ ইন্ডিয়ার অধীনে মোট ৪০টি সংস্থার সংস্থায় লগ্নি ছিল। সংস্থাটি ব্যর্থ হওয়ার পর থেকেই ধীরে ধীরে বিলগ্নিকরণ শুরু হয়। ২০০৩ সালে লগ্নির বিষয়ে দেখভাল শুরু করে SUUTI। গত সপ্তাহে এই সংস্থার মাধ্যমেই অ্যাক্সিসের শেয়ার বিক্রির ব্যবস্থা করা হয়।
এদিন কেন্দ্রের তরফে মোট ৪৬.৫ মিলিয়ন শেয়ার বিক্রি করা হয়। প্রতিটি শেয়ারের সর্বনিম্ন মূল্য ছিল ৮৩০.৬৩ টাকা। বিশাল পরিমাণ শেয়ার বিক্রির ফলে প্রভাব পড়ে অ্যাক্সিসের শেয়ার মূল্যে। এদিন ব্যাঙ্কের শেয়ার মূল্য ৮৫৪.৬৫ টাকায় এসে থামে। আগের দিনের তুলনায় যা ০.৪৪% শতাংশ কম।