শহরের গণ্ডি ছাড়িয়ে গ্রামে পৌঁছে গিয়ে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ। তাই এবার গ্রামীণ এলাকায় সংক্রমণ রুখতে নির্দেশিকা জারি করল কেন্দ্রীয় সরকার। নির্দিষ্ট সময় অন্তর প্রত্যেক গ্রামে ইনফ্লুয়েঞ্জা বা সারির মতো অসুস্থতার নজরদারি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জোর দেওয়া হয়েছে প্রাথমিক স্তরের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উন্নয়নে।
রবিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, মফঃস্বল, গ্রামীণ এবং আদিবাসী এলাকায় করোনার সংক্রমণ ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ছে। তাই বিভিন্ন জরুরি স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদানেহর পাশাপাশি সমাজের সমস্ত স্তরে প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উন্নতি করতে হবে। আগেভাগেই সংক্রমণ রোখার জন্য নজরদারি চালাতে বলা হয়েছে। সেজন্য টেলি-কনসালটেশনের মাধ্যমে 'কমিউনিটি হেলথ অফিসারকে' কারও ইনফ্লুয়েঞ্জা বা সারির মতো সংক্রমণের মাত্রা অনুধাবন করতে হবে। যে রোগীদের শরীরে অক্সিজেনের সম্পৃক্তা কম হবে এবং কো-মর্বিডিটি থাকবে, তাঁদের আরও ভালো স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাঠাতে হবে। 'কমিউনিটি হেলথ অফিসার'-দের র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের প্রশিক্ষণ দিতে হবে। সমস্ত সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের জন্য কিট থাকতে হবে।
নির্দেশিকায় বলা হযেছে, ‘টেস্টের ফলাফল না আসা পর্যন্ত ওই রোগীরা যাতে নিভৃতবাসে থাকেন, সেই পরামর্শ দিতে হবে। যে সমস্ত উপসর্গহীন রোগীরা করোনাভাইরাস আক্রান্তদের সংস্পর্শে এসেছিলেন, তাঁদের ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চের (আইসিএমআর) নিভৃতবাসে থাকার পরামর্শ দিতে হবে। সঙ্গে করোনা পরীক্ষা করতে বলতে হবে।’
ইতিমধ্যে শনিবার কেন্দ্রের উচ্চপদস্থ কর্তাদের সঙ্গে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত পর্যালোচনা বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গ্রামীণ এলাকায় অক্সিজেন কনসেট্রটর পৌঁছে দেওয়ার কথা বলেন। অক্সিজেন সিলিন্ডার, কনসেট্রটরের মতো যন্ত্রপাতি ঠিকমতো ব্যবহারের জন্য স্বাস্থ্যকর্মীর পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ দেওয়ার নির্দেশ দেন। সেইসঙ্গে যাতে সেই যন্ত্রপাতিগুলি ঠিকভাবে কাজ করতে পারে, সেজন্য বিদ্যুৎ সংযোগ নিরবিচ্ছিন্ন রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করতে বলেন। বৈঠকের পরে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘যাবতীয় প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের সঙ্গে উনি (মোদী) আশাকর্মী এবং অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের প্রশিক্ষিত করার বিষয়ে কথা বলেছেন। ছবি-সহ গ্রামীণ এলাকায় বাড়িতে নিভৃতবাস এবং চিকিৎসা সংক্রান্ত নির্দেশ সহজ ভাষায় লেখার নির্দেশ দিয়েছেন।’