রশ্মিকা মন্দানার ভিডিয়ো ডিপফেক করা নিয়ে কড়া বার্তা জারি করল কেন্দ্রীয় সরকার। সরকারের তরফে বলা হয়েছে, যাঁরা যাঁরা এই নীচ চক্রান্তের শিকার হবেন, তাঁরা প্রত্যেকে যেন পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ধারায় তাঁদের সুবিচার দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
সম্প্রতি অভিনেত্রী রশ্মিকা মন্দানার একটি ভুয়ো ভিডিয়ো নেটদুনিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। সেই ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে অভিনেত্রীকে হাসিমুখে কথা বলতে। কিন্তু ভিডিয়োটি ভাইরাল হওয়ার পরেই জানা যায়, সেটি এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ডিপফেক প্রযুক্তির সাহায্যে তৈরি। জানা যায়, অন্য একজনের ভিডিয়োতে রশ্মিকার মুখ বসিয়ে সেই জাল ভিডিয়ো তৈরি করা হয়। পরে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে সমাজমাধ্যমে।
(আরও পড়ুন: সবচেয়ে উষ্ণ বছর! ১ লক্ষ বছর পর এই তকমা পেল ২০২৩! কারণ নাকি একটাই)
ইতিমধ্যেই এই ঘটনা নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। স্বয়ং অমিতাভ বচ্চন রশ্মিকার পাশে দাঁড়িয়েছেন। তাঁকে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করার পরামর্শ দিয়েছেন। অপরাধীর কঠোর শাস্তির দাবি করেন। মুখে খুলেছেন আসল ভিডিয়োটি যাঁর, সেই মহিলাও। আসল ভিডিয়োটি জারা প্যাটেল নামে এক ভারতীয় বংশোদ্ভূতের। ওই ব্রিটিশ মহিলার জানিয়েছেন, রশ্মিকার সঙ্গে হওয়া এই ঘটনায় তিনি বিরক্ত এবং চূড়ান্ত হতাশ।
গোটা ঘটনাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, ভুল তথ্যপূর্ণ কন্টেন্ট দেখতে পেলে তা ছড়িয়ে পড়া থেকে আটকানো উচিত। অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলির কাছে আইনিভাবে এটি মানতে বাধ্য। তিনি জানিয়েছেন, কোনও ইন্টারনেট ব্যবহারকারী বা সরকারের কাছ থেকে রিপোর্ট পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই ধরনের ভিডিয়ো মুছে ফেলতে হবে।
(আরও পড়ুন: ভারতে সবচেয়ে বেশি খাবার নষ্ট করেন গৃহস্থরাই! পরিসংখ্যন চমকে ওঠার মতো)
এই নির্দেশ পালনে অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলি কোনও কারণে যদি ব্যর্থ হলে আইনি জটিলতায় পড়তে হবে তাদের। চন্দ্রশেখর জানিয়েছেন, সরকার নাগরিকদের, বিশেষ করে যেসব শিশু এবং মহিলারা এই ধরনের বিষয়বস্তুর 'টার্গেট' হন। তাই তাঁদের নিরাপত্তা প্রশ্নটিকে খুব গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। কেন্দ্রের দাবি, ডিপফেক তৈরি এবং প্রচারের জন্য কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে আইনে। ১ লক্ষ টাকা জরিমানা এবং তিন বছরের জেল হতে পারে এমন অপরাধের জন্য।