কেন্দ্রীয় সরকার ভ্যাকসিন কিনে বিনামূল্যে তা রাজ্য সরকারকে দিক। সোমবার সব অবিজেপি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখে এই দাবি তুললেন কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। কিছুদিন আগেই তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এই একই দাবি তুলেছিলেন। শুধু তাই নয়, নির্বাচনী প্রচার চলাকালীন তৃণমূল নেত্রী জানিয়েছিলেন, কেন্দ্রীয় সরকারকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দিতে হবে। এবার মমতার সুরেই গলা মেলালেন কেরালার মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন সব অবিজেপি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখে কেরালার মুখ্যমন্ত্রী জানান, সব অবিজেপি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে ঐক্যবদ্ধভাবে দাবি জানাতে হবে যাতে কেন্দ্র ভ্যাকসিন কিনে বিনামূল্যে তা রাজ্যগুলিকে বিতরণ করে। এখন সময় এসেছে, কেন্দ্রের ওপর চাপ সৃষ্টি করার। কেন্দ্রের সমালোচনা করে কেরালার মুখ্যমন্ত্রী জানান,কেন্দ্রীয় সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যাতে রাজ্যগুলি নিজেদের ক্ষমতায় ভ্যাকসিন কেনার ব্যবস্থা করে।কিন্তু চাহিদার তুলনায় জোগান খুব কম। ফলে রাজ্যের মানুষকে ভ্যাকসিন দিতে অসুবিধা হচ্ছে। এদিন চিঠিতে অভিযোগের সুরেই কেরালার মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, সারা দেশে যেখানে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলছে, সেখানে কেন্দ্র খুবই দুর্ভাগ্যজনক পদক্ষেপ নিচ্ছে।রাজ্যগুলিকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভ্যাকসিন দেওয়ার পরিবর্তে কেন্দ্র দায়িত্ব এড়িয়ে যাচ্ছে।ভ্যাকসিন কেনার দায়িত্ব যদি পুরোটাই যদি রাজ্যের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে রাজ্যের ওপর অর্থনৈতিক চাপ বাড়বে।রাজ্যগুলি যদি অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে, তাহলে দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো দুর্বল হয়ে পড়বে।
এদিন কেরালার মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেনস এখনও পর্যন্ত মাত্র ৩ শতাংশ মানুষ ভ্যাকসিনের দুটি টিকা পেয়েছে। দেশের মানুষ যখন ঠিকভাবে ভ্যাকসিন পাচ্ছেন না, তখন এই পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলি মুনাফা লোটার চেষ্টা করছে। এই পরিস্থিতিতে বিদেশি কোম্পানিগুলি রাজ্যগুলির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হতে চাইছে না। কেন্দ্রের উচিত রাষ্ট্রের অধীনে থাকা ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থায় ভ্যাকসিন উৎপাদনের ব্যবস্থা করা।
এদিন কেরালার মুখ্যমন্ত্রী যখন সব অবিজেপি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে এই চিঠিটি পাঠাচ্ছেন, তখন একই ভ্যাকসিনের বিভিন্ন রকম দামের কারণ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়ল কেন্দ্র।