টিকার আকাল নিয়ে কেন্দ্রের উপর চাপ বাড়াচ্ছিল একাধিক রাজ্য। এবার পালটা রাজ্যগুলিকে খোঁচা দিল কেন্দ্র। রীতিমতো বিবৃতি জারি করে কেন্দ্রের তরফে ঘুরিয়ে কটাক্ষ করা হল, আগেই বলা হয়েছিল যে করোনাভাইরাস টিকা জোগাড় করা মোটেই সহজ নয়। তা সত্ত্বেও নিজেদের ক্ষমতায় টিকা জোগাড় করতে গিয়েছিল রাজ্যগুলি। তাতে মুখ থুবড়ে পড়তে হল।
করোনা টিকা নিয়ে বিভিন্ন ‘প্রচলিত কথা’ নিয়ে বৃহস্পতিবার সাফাই দেন নীতি আয়োগের সদস্য (স্বাস্থ্য) ভি কে পল। তিনি দাবি করেন, টিকা উৎপাদনকারীদের অর্থ সাহায্য, দ্রুত অনুমোদন, উৎপাদন বৃদ্ধি থেকে শুরু করে ভারতে বিদেশি টিকা প্রদানের জন্য যাবতীয় কাজ করছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্র যে টিকা পাচ্ছে, তা বিনামূল্যে রাজ্যগুলিকে দেওয়া হয়েছে। সেই বিষয়ে খুব ভালোভাবে অবহিত রাজ্যগুলি।
এমনিতে দেশে ৪৫ বছরের ঊর্ধ্বে টিকাকরণ শুরুর পর থেকেই বিভিন্ন রাজ্যে প্রতিষেধকের অভাব দেখা দিয়েছিল। সেই পরিস্থিতিতে বিভিন্ন রাজ্যগুলি দ্রুত টিকাকরণের জন্য নিজেরাই টিকা কেনার জন্য অনুমোদন চাইতে থাকে। সরাসরি উৎপাদনকারীদের থেকে টিকা কেনার জন্য একাধিকবার আর্জি জানান পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে টিকাকরণের শুরু থেকে সেই অনুমোদন দেয় কেন্দ্র। কিন্তু সেই পর্যায়ের টিকাকরণ শুরুর পর দেশের বিভিন্ন প্রান্তে প্রতিষেধকের আকাল দেখা দেয়। টিকার বিপুল ঘাটতি মেটাতে উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, কর্নাটক, ওড়িশা, উত্তরাখণ্ডের মতো রাজ্যগুলির তরফে গ্লোবাল টেন্ডার ডাকা হয়। তাতে অবশ্য আপাতত তেমন সাফল্য মেলেনি। তা নিয়ে রাজ্যগুলিকে খোঁচা দিতে ছাড়েনি কেন্দ্র।
বৃহস্পতিবার নীতি আয়োগের সদস্য (স্বাস্থ্য) পল জানান, লাগাতার আর্জির জন্য রাজ্যগুলিকে সরাসরি টিকা কেনার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। রাজ্যগুলি খুব ভালোমতোই জানে, দেশে টিকা তৈরি এবং বিদেশ থেকে টিকা আমদানির ক্ষেত্রে কী কী সমস্যা আছে। তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্য হল রাজ্যের বিষয়। রাজ্যগুলির লাগাতার অনুরোধের কারণে টিকা নীতির উদারীকরণ করা হয়েছে। গ্লোবাল টেন্ডার থেকে যে কোনও ফল মেলেনি, তা প্রথমদিন থেকে আমরা যেটা বলছিলাম, সেই তত্ত্ব আরও মজবুত হল। প্রথমদিন থেকে বলা হচ্ছিল, যে বিশ্বে টিকার জোগান কম এবং কম সময়ের নোটিশে টিকা কেনা সহজ নয়।’