সীমান্তবর্তী এলাকায় রাস্তা এবং পরিকাঠামো নির্মাণে যুক্ত কর্মীদের বেতন একলাফে অনেকটা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র। 'হিন্দুস্তান'-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই কর্মীদের ন্যূনতম বেতন ১০০-১৭০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। সবথেকে বেশি বেতন বেড়েছে লাদাখ সেক্টরে কর্মরতদের।
গত ১ জুন থেকে নয়া বেতন কাঠামো লাগু হয়েছে। ন্যাশনাল হাইওয়ে হাইওয়েজ অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেডের তরফে জারি করা নির্দেশনামায় জানানো হয়েছে, চিন, পাকিস্তান, বাংলাদেশ সীমান্তে কর্মরতদের রিস্ক অ্যালাওয়েন্স ১০০-১৭০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে।
নয়া নির্দেশনামা অনুযায়ী, লাদাখে কর্মরত ডেটা এন্ট্রি অপারেটারের মতো আউটসোর্সড নন-টেকনিকাল কর্মীদের মাসিক বেতন ১৬,৭৭০ টাকা থেকে বেড়ে ৪১,৪৪০ টাকা হয়েছে। ওই একই পদের কর্মীরা দিল্লিতে মাসিক ২৮,০০০ টাকা বেতন পান। একইভাবে লাদাখ এলাকায় কর্মরত অ্যাকাউন্টেন্টের মাসিক বেতন বেড়ে দাঁড়াচ্ছে ৪৭,৩৬০ টাকা। আগে তিনি পেতেন ২৫,৭০০ টাকা।
পদমর্যাদা যত বেড়েছে, বেতন বৃদ্ধির হারও তত বেড়েছে। 'হিন্দুস্তান'-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, লাদাখে কর্মরত সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের মাসিক বেতন দ্বিগুণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ৬০,০০০ টাকা। ম্যানেজার পর্যায়ের আধিকারিকদের মাসিক বেতন আগে ছিল ৫০,০০০ টাকা। এখন তা বেড়ে হয়েছে ১১২,৮০০ টাকা। অন্যদিকে, সিনিয়র ম্যানেজারদের বেতন ৫৫,০০০ টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২৩,৬০০ টাকা।
শুধু বেতন বৃদ্ধি নয়, চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের পাঁচ লাখ টাকার স্বাস্থ্য বিমা এবং ১০ লাখ টাকা দুর্ঘটনাজনিত বিমার আওতায় আনা হচ্ছে। পাশাপাশি ট্রাভেলিং অ্যালোয়েন্স, ডিয়ারনেস অ্যালোয়েন্স (ডিএ), প্রভিডেন্ট ফান্ডের (পিএফ) মতো সুবিধা পাবেন।
বিপদসঙ্কুল এলাকায় কর্মরতদের তিনটি ভাগে শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম শ্রেণিতে রয়েছেন অসম, মেঘালয়, ত্রিপুরা, সিকিম এবং উত্তরাখণ্ডে কর্মরতরা। অরুণাচল প্রদেশে, জম্মু ও কাশ্মীর, মিজোরাম এবং নাগাল্যান্ডে কর্মরতরা দ্বিতীয় শ্রেণিতে রয়েছেন। সবথেকে বিপদসংকুল এলাকার তালিকায় রয়েছে লাদাখ।