ছমাস আগে হঠাৎ করে নেওয়া সিদ্ধান্ত থেকে হঠাৎ করেই সরে এল কেন্দ্র। শনিবার স্টিল ও কাঁচামালের উপর থেকে তুলে নেওয়া হল রপ্তানি শুল্ক। গত মে মাসে কেন্দ্রের তরফে এই পণ্যগুলোর উপর বড়সড় শুল্ক চাপানো হয়। দেশের উৎপাদক সংস্থাগুলো যাতে যথেষ্ট পরিমাণে লোহা ও অন্য কাঁচামালের জোগান পায়,তার জন্যই শুল্কের সিদ্ধান্ত, জানিয়েছিল কেন্দ্র। পাশাপাশি অর্থমন্ত্রকের দাবি ছিল, এই পণ্যগুলোয় কর না থাকার কারণে দেশজুড়ে জিনিসের দাম বাড়ছে। এদিন একই সঙ্গে স্টিল ও স্টিলের কাঁচামালের জন্য চালু করা আমদানি ভর্তুকিও উঠিয়ে দেওয়া হয়।
রপ্তানি শুল্ক কমানো নিয়ে সরকারের ঘরে চিন্তাভাবনা চলছে, এ খবর গত সেপ্টেম্বরেই হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছিল। শনিবার মন্ত্রক জানায়, স্টিল ও কাঁচামাল এখন দেশের ভাঁড়ারে যথেষ্ট পরিমাণে মজুত রয়েছে। তাই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি অর্থমন্ত্রক স্বীকার করে, রপ্তানি শুল্ক চাপানোর জন্য অনেকটাই কমে গিয়েছে রপ্তানি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কেন্দ্রের দুই আধিকারিক জানান, অক্টোবরে রপ্তানির হার এতটা কমে যাওয়ার পিছনে বড় কারণ ছিল এই রপ্তানি শুল্ক।
মে মাস নাগাদ কেন্দ্রের তরফে স্টিল ও বিভিন্ন কাঁচামালের উপর ১৫ থেকে ৪৫ শতাংশ পর্যন্ত কর চাপানো হয়েছিল। এই কারণেই এপ্রিল থেকে অক্টোবর, এই সাত মাসের মধ্যে ৭২ শতাংশ কমে তলানিতে এসে ঠেকে এক্সপোর্ট । অন্যদিকে সাত মাসে লোহা ও কাঁচামালের আমদানি বেড়েছে ৩১ শতাংশ। গত বছরের তুলনায় এই বছর মোট ৩ বিলিয়ন ডলার বেশি আমদানি হয়েছে।
তবে এতো কাণ্ড করে লাভ কতটা হল, প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। শুল্ক চাপানোয় এক মাসের মধ্যে ১৬.৬৫ শতাংশ কমে গিয়েছে রপ্তানি। শুরুর দিকে ইঞ্জিনিয়ারিং দ্রব্যের রপ্তানিও ২১ শতাংশ পড়ে গিয়েছিল। তবে এতটা কমার জন্য ইদানিংকালে বিশ্বের অর্থনৈতিক অবস্থাও কিছুটা দায়ী।